জাতীয়

স্থলবন্দরে আটকা ভারতীয় পেঁয়াজে পচন ধরেছে

মোহনা অনলাইন

পচন ধরেছে স্থলবন্দরে আটকা ভারতীয় পেঁয়াজে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর জন্য পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছে। ফলে বন্দরগুলোতে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ এসে আটকা পড়েছে।

বাংলাদেশের যেসব আমদানিকারক পেঁয়াজের অর্ডার দিয়েছিলেন, তাদের অর্ডার নিয়ে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে অপেক্ষায় আছে কমপক্ষে ১০০ কার্গো ট্রাক। এতে পেঁয়াজের পরিমাণ ৩০০০ মেট্রিক টনের বেশি। এসব পেঁয়াজ নিয়ে ট্রাকগুলো সীমান্তে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার আকস্মিক রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে। ফলে সীমান্তে ট্রাকের ওপর এসব পেঁয়াজে পচন ধরেছে। তা থেকে পচা দুর্গন্ধ বের হচ্ছে।

ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে পশ্চিমবঙ্গের অংশে ট্রাকবোঝাই পেঁয়াজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। ওদিকে, বাংলাদেশে এর দাম বেড়ে চলেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের আকস্মিক রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তে এসব ট্রাক স্থলবন্দরে আটকে আছে। এতে রপ্তানিকারক এবং পেঁয়াজবোঝাই ট্রাকগুলোও লোকসানের মুখে রয়েছে।

একজন রপ্তানিকারক বলেন, আরও কমপক্ষে ১০০০ ট্রাক পেঁয়াজ সীমান্তের পথে রয়েছে। সরকারের সিদ্ধান্ত আমাদের বিভ্রান্তিতে ফেলেছে। সব স্থলবন্দরে এই নিষেধাজ্ঞা একরকম নয়। পশ্চিমবঙ্গের সবচেয়ে বড় স্থলবন্দর পেট্রোপোলে পেঁয়াজভর্তি ট্রাকগুলো নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হওয়ার আগে অর্ডার পেয়েছিল। উত্তর ২৪ পরগনার বশিরহাটের কাছে গজলডাঙ্গা স্থলবন্দরে পরিস্থিতি ভিন্ন। সেখানে নাসিক থেকে পেঁয়াজবোঝাই প্রায় ৩০টি কার্গো ট্রাক ৮ ডিসেম্বর থেকে আটকে আছে। মালদার মাহাদিপুর স্থলবন্দরের ভেতরে ৭০টি এবং বাইরে ৮০টি কার্গো ট্রাক অপেক্ষায়।

কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, নিষেধাজ্ঞায় কেন্দ্রীয় সরকার যে তিনটি শর্ত আরোপ করেছে, তার একটিও অনুসরণ করেনি এসব শিপমেন্টের রপ্তানিকারকরা। তিনটি শর্তের ওপর পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি আছে। তা হলো- যদি চালানের পেঁয়াজ বোঝাই শুরু হয়ে থাকে নোটিফিকেশন দেওয়ার আগে, যদি চালান এরই মধ্যে পৌঁছে থাকে এবং বন্দরে নোঙর করা অবস্থায় থাকে। পেঁয়াজের চালান যদি কাস্টমসের কাছে হস্তান্তর করা হয়ে থাকে অথবা নোটিফিকেশনের আগে কাস্টমস স্টেশনে পৌঁছে থাকে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button