শীত মানেই খেজুরের রস। যা অনায়াসেই সবার খাওয়ার তেষ্টা বাড়িয়ে দেয়। তাইতো অনেকেই খেজুরের কাঁচা রস দূর থেকে পর্যন্ত আনিয়ে পান করছেন। কিন্তু খেজুরের রস না পান করার পরামর্শ দিয়েছেন আইইডিসিআর। রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর), খেজুরের কাঁচা রস না পান ও আংশিক খাওয়া বা কোনো ধরনের ফল না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত ভয়াবহ রোগত, যা বাদুড় থেকে মানুষে সংক্রমিত হয়। সাধারণ শীতকালে এই রোগ বিস্তার লাভ করে। খেজুরের কাঁচা রস পান করলে নিপাহ রোগ হতে পারে। অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগ থেকে এই রোগের মৃত্যুহার অনেক বেশি, প্রায় ৭০ শতাংশ। প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায়।
খেজুরের কাঁচা রস পানে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে। আইইডিসিআর ২০০১ সাল থেকে বাংলাদেশে নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণের বিষয়ে জনগণকে সতর্ক করে আসছে। নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক রোগ। যা বাদুড় থেকে খেজুরের কাঁচা রসে ও বাদুড়ের আংশিক খাওয়ার মাধ্যমে মানুষে মধ্যে সংক্রমিত হয়। এছাড়া নিপাহ সংক্রমিত রোগীর সংস্পর্শে আসার মাধ্যমেও সুস্থ ব্যক্তি সংক্রমিত হতে পারে। আমরা আবারও মনে করাচ্ছি যে, নিপাহ একটি মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারী ভাইরাস। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে রোগের কোনো চিকিৎসা নেই। ২০০১ সাল থেকে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে এ রোগে মৃত্যু হার সর্বোচ্চ শতকরা ৭০ শতাংশ।
এ রোগের প্রধান লক্ষণগুলো
জ্বরসহ মাথা ব্যথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হওয়া বা মারাত্মক শ্বাসকষ্ট। এসব লক্ষণগুলো দেখা দিলে প্রয়োজনে আইইডিসিআরের হটলাইন (০১৯৩৭০০০০১১, ০১৯৩৭১১০০১১, ০১৯২৭৭১১৭৮৭, ০১৯২৭৭১১৭৮৫) যোগাযোগ করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে।
চিকিৎসকদের মতে, নিউরোলজিক্যাল রোগে ওষুধের মাধ্যমে সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করা যায় না। এ ধরনের রোগের ক্ষেত্রে ফিজিওথেরাপি দেওয়া হয়। এতে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়, তবে একদম সুস্থ হয়ে যাবে এমন নয়। তাই নিপাহ যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।