নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে রাখা হয়েছে দীর্ঘদিন ধরেইফর্মহীনতায় ভোগা সৌম্য সরকারকে।কিউইদের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে একাদশেও সুযোগ মেলে সৌম্যের।তবে তিনি ব্যাট হাতে ডাক খেয়েছেন। আর বল হাতে ৬ ওভারে দিয়েছেন ৬৩ রান।সৌম্যের এমন বাজে পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে সর্বত্র।
বিশ্বকাপে তানজিদ তামিমও দিয়েছেন ব্যর্থতার পরিচয়। বিশ্বকাপ পরবর্তী দলে এসেছে খানিক পরিবর্তন। লিটন দাশ ব্যক্তিগত কারণে দল থেকে ছুটি নিয়েছেন। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ইনজুরির কারণে নেই দলে। সাকিবও ইনজুরি কারণে দলে নেই। তবে, নিউজিল্যান্ড সফরের সময়টায় বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তিনি এবার প্রার্থী হওয়ায় ওই সময়ে নিউজিল্যান্ড সফরে থাকতে পারবেন না। তামিম ইকবাল এখনো জাতীয় দলে ফেরেননি। এজন্যই কি সৌম্যকে নেওয়া হলো? নাকি প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের চাওয়াতেই আবারও প্রিয় শিষ্যকে সুযোগ মতো দলে ভেড়ানো হচ্ছে?
বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে নিজের দ্বিতীয় বলে কোনো রান না করেই আউট হয়ে যান তিনি। এখন আবার বিশ্বকাপের পর নিউজিল্যান্ড সফরের স্কোয়াডে জায়গা দেওয়া হয়েছে সৌম্যকে।
ঘরের মাঠে দুই টেস্ট খেলার পর নিউজিল্যান্ডে গিয়ে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলবে বাংলাদেশ। এই সিরিজের দুই ফরম্যাটের স্কোয়াডেই আছেন সৌম্য। সৌম্যতো সুযোগ পেয়েও নিজেকে প্রমাণ করতে পারছেন না। তাহলে কেন তাকে আবারও দলে নেওয়া? এমন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি জানিয়েছেন, সৌম্যর নিউজিল্যান্ডের অভিজ্ঞতা ভালো। আগে যখনই খেলেছে নিউজিল্যান্ডে ভালো করেছে। এনসিএলে ব্যাটিং-বোলিং দুটোই এবার যথেষ্ট ভালো করেছে। সে চিন্তা করে ওকে আবার আরেকটা সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
সবশেষ জাতীয় ক্রিকেট লিগে ৬ ম্যাচের ১১ ইনিংসে ৪৮.৪৪ গড়ে ৪৩৬ রান করেছেন সৌম্য। এছাড়া বল হাতে ১৭ উইকেট নিয়েছেন তিনি। আসলে সৌম্য ভালো করলেন সাদা পোশাকে আর তাকে ডাকা হলো ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। সেটাও নিউজিল্যান্ডের মাটিতে। যেখানে বাংলাদেশের মতো স্লো উইকেট নয়। এর ভেতরের পরিস্কার ব্যাখ্যা হয়তো টিম ম্যানেজমেন্টের কাছেই রয়েছে।
সৌম্য এ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডে ৯টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, ১৫.৪৪ গড় ও ৮০.৩৪ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন ১৩৯। টি-টোয়েন্টিতে ৮ ম্যাচে ১৫৩.৯৮ স্ট্রাইক রেটে ১৭৪ রান করেছেন তিনি। তাকে নেওয়ার চাওয়াটা কি টিম ম্যানেজমেন্টেরও ছিল? এমন প্রশ্নের জবাবে নান্নু বলেন, ‘ওরকম কোনো চাওয়া ছিল না। কিন্তু আমরাতো সবসময় টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে আলোচনা করি। সব সমন্বিতভাবেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এবার ওয়ানডে স্কোয়াডে সুযোগ পেয়েছেন রিশাদ হোসেন ও রাকিবুল হাসান। রিশাদ এর আগে টি-টোয়েন্টিতে ছিলেন, তবে রাকিবুলের জন্য এটাই প্রথম। তাদেরকেই সাদা বলের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ হিসেবে যাত্রাটা শুরু করে দিতে চাইছে বাংলাদেশ।
প্রধান নির্বাচক তাদের নিয়ে বলেন, ‘ওরা দুজন আমাদের হাই-পারফরম্যান্সের ক্রিকেটার। তারা এ দলেও খেলেছে, ওদের অনেকদিন ধরে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছিল। সে হিসেবে আমরা মনে করেছি সাদা বলের ক্রিকেটে তারাই আমাদের ভবিষ্যৎ। এখন থেকেই ওদের যাত্রা শুরু হলো।