Site icon Mohona TV

সহিংস হয়ে উঠছে কুমিল্লার রাজপথ, উদ্বেগে ভোটাররা

ছবি: সংগৃহীত

ভোটের দিন যত ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণায় বাড়ছে উত্তাপ-উত্তেজনা। প্রার্থীদের কর্মী-সমর্থক ও অনুসারীদের অসহিষ্ণুতায় হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের পাশাপাশি বাড়ছে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ দায়েরের ঘটনা। বিশেষ করে, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বনাম দলটির স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে প্রতিদিনই সংঘর্ষ হচ্ছে।

কুমিল্লা-৭ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ওই আসনের বর্তমান নৌকার প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য প্রাণ গোপাল দত্তের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে চান্দিনায় নিজস্ব কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নৌকা প্রতিকের প্রার্থীর সন্ত্রাসী বাহিনীর বিচার দাবি করে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টির জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণসহ নানা অভিযোগ তুলে ধরেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মুন্তাকিম আশরাফ টিটু।

যদিও এর পরপরই আরেকটি ওই এলাকায় আরেকটি সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন প্রাণ গোপাল। স্বতন্ত্র প্রার্থীর অভিযোগে বলা হয়, ‘ধারাবাহিক’ হামলায় চান্দিনা উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম মুন্সীসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন এবং ভোটারদের মধ্যে ‘ভীতি’ কাজ করছে। আহতদের মধ্যে ৭/৮ জনের শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক।

এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনে অন্তত আটটি অভিযোগ দেওয়া হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি। ফলে এ আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নেই। টিটু বলেন, “চান্দিনা উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা আমার ঈগল প্রতীকের সঙ্গে আছে। এখানে দলের অধিকাংশ নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সঙ্গে নেই। এ কারণে নির্বাচনে নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী প্রাণ গোপাল দত্ত ও তার অনুসারীরা আমার কর্মী-সমর্থকদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়াসহ সহিংসতা করছে।

“এছাড়া ‘বহিরাগত সন্ত্রাসীদের’ জড়ো করে কেন্দ্র দখলের পরিকল্পনাসহ পাঁচটি মাইক্রোবাস ও ১০/১৫টি মোটরসাইকেলে করে এলাকায় বিপজ্জনক মহড়া দিয়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে ভোটের পরিবেশ নষ্ট করছে।“নৌকার কর্মীদের পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী।

সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজন কুমিল্লা জেলা সভাপতি আলমগীর হোসেন বলেন , নির্বাচনের যে পরিবেশ এবং পরিস্থিতি তাতে যতই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষতার কথা বলা হোক না কেন বাস্তবে তা সম্ভব নয়। সরকারি দলের প্রার্থীর সঙ্গে নিজ দলের পদ-পদবিতে থাকা নেতাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে সংঘাত-সহিংসতা অনিবার্য হয়ে উঠেছে। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন হচ্ছে প্রতিনিয়ত।

কুমিল্লার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান বলেন, আচরণবিধি নিয়ে আরো কঠোর হবে প্রশাসন। পরিবেশ সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক রাখতে সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবো আমরা।

 

author avatar
Online Editor SEO
Exit mobile version