জীবনধারা

শীতকালে কলা খেলে ঠান্ডা-কাশি বাড়ে, আসলেই কী ঠিক?

মোহনা অনলাইন

শীতকালে সর্দি-কাশির প্রকোপ বেশি থাকে। একটি ধারণা প্রচলিত রয়েছে যে, কলা খেলে ঠান্ডা লাগে। সেজন্য শীতে অনেকেই কলা খান না এবং শিশুকেও কলা খেতে দেন না। শরীরে শক্তি জোগাতে কলা অত্যন্ত উপাদেয় একটি ফল। এর মধ্যে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ।

কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন। কলায় ক্যালোরি যেমন বেশি ঠিক তেমনই এতে থাকে বিভিন্ন পুষ্টিগুণও বেশি। যা শরীরের জন্য অনেক উপকারী। সবরি, মর্তমান, সাগর, চাঁপা – সব পাকা কলাই কমবেশি সমান পুষ্টিকর। শরীরে শক্তি জোগাতে কলা অত্যন্ত উপাদেয় একটি ফল। পাকা কলাতে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ও খনিজ যেমন- পটাসিয়াম, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ফোলেট, নিয়াসিন, রিবোফ্লাভিন ও ভিটামিন-বি রয়েছে। এগুলো শরীরকে কর্মক্ষম ও সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সাধারণত ঠান্ডা লাগলে কলা বা টক জাতীয় ফল খেতে নিষেধ করা হয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিমিত পরিমাণে যে কোনো কিছু খাওয়াতে ক্ষতির কিছু নেই। আর কলাতে ভিটামিন সি রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রাড়ায়। কলা খেলে ঠান্ডা লাগে—এ ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, যেমন- অ্যাজমা, নাকে পানি ঝরা, হাঁচি এসব সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খেলে সমস্যা হতে পারে। এক্ষেত্রে কলা খাওয়ার পর ব্যক্তি যদি মনে করে, তার সমস্যা হচ্ছে, তবে এড়িয়ে গেলে ভালো হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, কলা খেলে ঠান্ডা লাগে—এ ধারণা একেবারেই সঠিক নয়। তবে যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, যেমন : অ্যাজমা, নাকে পানি ঝরা, হাঁচি এসব সমস্যা রয়েছে, তাদের ক্ষেত্রে কলা খেলে সমস্যা হতে পারে।

অ্যাপোলো হাসপাতালের প্রধান পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী বলেন, কলা খেলে ঠান্ডা লাগে—এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। ফলের ভেতর রয়েছে ভিটামিন; এটি খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। তবে যারা ঠান্ডার সমস্যায় ভুগছেন বা যাদের এরই মধ্যে ঠান্ডা লেগে আছে, তাদের কলা খেলে শ্লেষ্মা বা মিউকাস বেশি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই ঠান্ডার রোগীকে এটি খেতে মানা করা হয়।

কলায় পটসিয়ামের মাত্রা বেশি থাকায় যারা রেনাল ফেলিওরে ভুগছেন কিংবা পটাসিয়ামে অসুবিধা আছে তাদের কলা না খাওয়াই ভাল। এছাড়া কলায় রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইবার। যা হজমে সহায়তা করে আবার পেটও ভরে রাখে। এর ফলে অন্য খাবার খাওয়ার আগ্রহ কমে যায়। যার কারণে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কম। ডায়াবেটিস রোগীরা কম করে কলা খেলে কোনো সমস্যা হয় না। কারণ এতে থাকা ফাইবার শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

 

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button