স্বাস্থ্য

শ্বাসকষ্ট মানেই হাঁপানি নয়! ঠিক কী কী কারণে হতে পারে এই সমস্যা?

মোহনা অনলাইন

আমরা যে প্রতি মুহূর্তে শ্বাস নেই, নিশ্বাস ছাড়ি, তা কিন্তু টের পাই না। একমাত্র যদি ঘন ঘন শ্বাসপ্রশ্বাস নেই বা গতি বেড়ে যায় কিংবা শ্বাসের সঙ্গে বাতাস প্রবেশ করতে অসুবিধা হয়, তবেই তা কষ্ট হিসেবে অনুভূত হয়। অনেকেই মনে করেন, শ্বাসকষ্ট মানেই হাঁপানি। কিন্তু সব শ্বাসকষ্ট হাঁপানি নয়।

সিঁড়ি দিয়ে ওঠার সময় অনেকেরই শ্বাসকষ্ট হয়। একটু বেশিক্ষণ হাঁটাহাটি করলেও অনেকের শ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয়। বিষয়টি খুব বিরল এমনটা  কিন্তু নয়। এমনিতেই সকলের ফুসফুস আর হৃদ্‌যন্ত্রের ক্ষমতা সমান হয় না। যাঁদের ফুসফুস এবং হৃদ্‌যন্ত্র দুর্বল, অল্প পরিশ্রমেই তাঁদের শ্বাসকষ্ট হয়। কোভিডের কারণেও অনেকের এই রকম সমস্যা দেখা যাচ্ছে। যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছে, তাঁদের অনেকের ফুসফুসের ক্ষমতা কমেছে। ফলে অল্প পরিশ্রমেই তাঁরা হাঁপিয়ে পড়ছে।

অ্যালার্জি, হাঁপানি, হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যা, ফুসফুসের রোগ, নিউমোনিয়া, স্থুলতা, যক্ষ্মা ইত্যাদি ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া স্বাভাবিক। শরীরে ব্যাক্টেরিয়ার সংক্রমণ হলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। রাতে ঠিক মতো ঘুম না হলেও নিঃশ্বাস নিতে সমস্যা হয়। এ ছাড়া কিডনির অসুখে ভুগলেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। নিউমোনিয়ার প্রধান উপসর্গই শ্বাসকষ্ট। ফুসফুসের যত বেশি অংশ আক্রান্ত হবে, শ্বাসকষ্ট ততই প্রকট হবে। ক্রনিক ব্রঙ্কাইটিসের কারণেও একই ধরনের সমস্যা হয়।

শ্বাসকষ্টের সঙ্গে যদি ক্লান্তি, বুকে ব্যথা, গা হাত পায়ে ব্যথা কিংবা অতিরিক্ত নাক ডাকার সমস্যা বাড়ে-তা হলে অবশ্যই বাড়তি সতর্কতা নিতে হবে। শ্বাসকষ্টের সমস্যা বাড়লে দীর্ঘ দিন ফেলে রাখবেন না। শ্বাসকষ্ট হলে হাঁপানি ভেবে নানা ধরনের ওষুধ না খেয়ে আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। এ ক্ষেত্রে ধূমপান এড়িয়ে চলুন। ধুলোবালি ও দূষণ থেকে দূরে থাকুন

হাঁপানি হলে বিশেষ ধরনের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। এটি হঠাৎ করে শুরু হয়। একই সঙ্গে কাশি ও বুকের ভিতর শ্বাস বন্ধ ভাব অনুভূত হয়। এ ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। বিভিন্ন পরীক্ষা করে তিনিই বলতে পারবেন আদৌ আপনার হাঁপানি আছে কি না।দ

author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button