ঢাকাসংবাদ সারাদেশ

হেরিটেজ রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ

রেজাউল করিম, নরসিংদি

নরসিংদীর মাধবদীতে সন্ত্রাসীদের চাঁদা না দেয়ায় বিনোদন কেন্দ্র হেরিটেজ রিসোর্টে হামলা ও ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে গত বুধবার নরসিংদী জেলা আদালতে দুই জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে মামলাটি নথিভুক্ত করেছে। এ ঘটনায়  নিরাপত্তা ঝুঁকিতে পড়েছে দেশের অন্যতম শীর্ষ এ বিনোদন কেন্দ্রের দর্শনার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
রিসোর্টের মহা-ব্যবস্থাপক জহিরুল কাইয়ূম জানায়, হেরিটেজ রিসোর্টটি সাম্প্রতিক সময়ে দেশী ও বিদেশী পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণীয় বিনোদন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির এ সাফল্য স্থানীয় একটি চক্রের নজরে পড়ে। মাধবদী থানার রাইনাদী গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী নূরে আলম বাদল (৪৫) ও তাঁর ছোট ভাই রফিকুল আলম (৪০) হেরিটেজ রিসোর্টে এসে মহা-ব্যবস্থাপক জহিরুল কাইয়ূমের নিকট প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করে। বিষয়টি মহা-ব্যবস্থাপক কাইয়ূম রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেনহাজুর রহমান ভূইয়া রাজুকে জানালে তিনি চাঁদা দিতে অসম্মতি জানায়। এই খবরে উত্তেজিত হয়ে সন্ত্রাসীরা গত বছরের ১৯ নভেম্বর রিসোর্টের অভ্যর্থনা শাখায় এসে প্রতিষ্ঠানের মালিককে উদ্দেশ্য করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এবং প্রতিমাসে ৫ লাখ টাকা চাঁদা প্রদান না করলে রিসোর্টের মালিক, কর্মকর্তা, কর্মচারীদেরকে রাস্তা-ঘাটে, বাজারে যেখানে পাবে সেখানেই সম্মানহানী ও বড় ধরনের ক্ষতি সাধন করবে বলে হুমকি দেয়। এই ঘটনায় গত ২৬ নভেম্বর রিসোর্টের পক্ষ থেকে মাধবদী থানায় তাঁদের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়।
এরই জের ধরে পরবর্তীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি বিকালে সন্ত্রাসীরা হেরিটেজ রিসোর্টের বাউন্ডারি ওয়ালের টিন খুলে চুরি করে নিয়ে যায়। সর্বশেষ নির্বাচনের দিন ৭ জানুয়ারি বিকালে সন্ত্রাসী নূরে আলম বাদলের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় ধারালো অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হেরিটেজ রিসোর্টে হামলা চালায়। ওই সময় তাঁরা রিসোর্টের বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে ফেললে প্রতিষ্ঠানটির জিএম জহিরুল কাইয়ূম হামলাকারীদের বাঁধা দিলে তাঁকেও মারধর করে।
হেরিটেজ রিসোর্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেনহাজুর রহমান ভূইয়া রাজু জানায়, হেরিটেজ রিসোর্ট শুধু একটি প্রতিষ্ঠান নয় এখন এটা নরসিংদীর সম্পদ। রিসোর্টটি সারা দেশে নরসিংদী জেলাকে ব্যান্ডিং করে। আর সেই প্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসীরা চাঁদা দাবী করবে এবং না দিলে হামলা ও ভাংচুর করবে এটা দুঃখজনক। বিষয়টি আমি মামলার পাশাপাশি উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি। আমি অনতিবিলম্বে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবী জানাচ্ছি।
এ ব্যাপারে জানতে অভিযুক্ত নূূরে আলম বাদলের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করেও তাঁর বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
জানতে চাইলে মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, হেরিটেজ রিসোর্টে চাঁদা দাবী,  হুমকি ও হামলার বিষয়ে থানায় মামলা নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলমান। আমরা আসামীদের গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চালাচ্ছি।
author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button