জীবনধারা

রুটির পুষ্টিগুণ বাড়বে যে ৪ উপকরণ মেশালে

মোহনা অনলাইন

ভাত আমাদের প্রধান খাদ্য হলেও সকালের জলখাবারে অনেকেরই থাকে রুটি। আবার বেশিরভাগ ঘরে রাতেও চল রয়েছে রুটি খাওয়ার। রুটিতে গ্লাইসেমিক ইন্ডেক্স নামক উপাদান কম থাকায় রক্তে সুগারের মাত্রা ঠিক থাকে। সঙ্গে আটায় থাকা সকল ভিটামিন ও খনিজ উপকার দেয় শরীরকে। তবে এবার থেকে আটার সঙ্গে মেশাতে পারেন কিছু বিশেষ উপাদান। যা রুটিকে আরও উপকারী করে তুলবে। 

আটায় থাকে প্রয়োজনীয় ভিটামিন এবং খনিজ। যা শরীরের জন্য উপকারী। আপনার প্রতিদিনের রুটি আরও বেশি সুস্বাদু ও পুষ্টিকর করতে এর সঙ্গে কিছু উপকরণ মিশিয়ে নিতে পারেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক-

১. পালংশাক

শীতের শাক-সবজির মধ্যে অন্যতম হলো পালংশাক। উপকারী এই সবুজ শাক মিশিয়ে নিতে পারেন আপনার রুটি তৈরির খামিরের সঙ্গে। সেজন্য পালংশাক ব্লেন্ডারে পেস্ট করে তা আটার সঙ্গে মাখিয়ে নিতে হবে। এক্ষেত্রে আলাদা করে আর পানি মেশানোর প্রয়োজন পড়বে না। পালংশাকে থাকে মিনারেল, ভিটামিন, ফাইটো নিউট্রিয়েন্টসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টিকর উপাদান। যা রুটিকে আরও পুষ্টিকর করে তোলে।

২. ঘি

গরম ভাতে ঘি মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন অনেকে। তবে এটি রুটি তৈরির সময় মিশিয়ে নিলেও উপকার পাবেন। আপনি চাইলে রুটি বানানোর পরও এর সঙ্গে ঘি মিশিয়ে নিতে পারেন। এর ফলে রুটি নরম থাকবে অনেক সময়। আবার ঘিয়ে থাকা বিভিন্ন খনিজ উপাদান ও স্যাচুরেটেড ফ্যাটও শরীরের উপকার করবে। এগুলো মস্তিষ্কের জন্যও উপকারী। রুটিতে ঘি মাখিয়ে খেলে তা গ্লুটেন ও ফাইবার হজম করা সহজ করে। ঘি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিনের এ, ডি, ই, এবং কে-এর উৎস।

৩. মসলা

রুটির সাধারণ স্বাদে পরিবর্তন আনতে চাইলে এর সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের মসলা মিশিয়ে নিতে পারেন। এতে স্বাদ তো বদলাবেই, সেইসঙ্গে যোগ হবে বাড়তি পুষ্টিও। রুটি তৈরির আটার সঙ্গে সঙ্গে আমচুর পাউডার, ভাজা মসলা, লবণ, গোলমরিচ গুঁড়া ইত্যাদি পরিমাণমতো মিশিয়ে নিতে পারেন। এভাবে তৈরি করলে সবাই তা খেতেও বেশ পছন্দ করবে।

৪. ড্রাইফ্রুটস পাউডার

ড্রাইফ্রুটস আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। আপনি আপনার রুটির সঙ্গে বাড়তি পুষ্টি যোগ করতে চাইলে মিশিয়ে নিতে পারেন এর পাউডার। রুটি তৈরির সময় আটার সঙ্গে ১ থেকে ২ টেবিল চামচ (২-৩টি রুটির জন্য এই পরিমাণ) ড্রাইফ্রুটস পাউডার মিশিয়ে নিন। সকালের নাস্তায় এভাবে তৈরি করা রুটি খেলে তা সারাদিন আপনাকে সতেজ ও শক্তিশালী রাখতে কাজ করবে। তবে সবদিন একইভাবে রুটি তৈরি না করে, একেকদিন একেকভাবে তৈরি করে খেতে পারেন। এতে স্বাদ এবং পুষ্টি দুটিই মিলবে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button