আন্তর্জাতিক

বিশ্বের যে ৫ দেশে নেই বিমানবন্দর

মোহনা অনলাইন

এক দেশ থেকে অন্য দেশে পৌঁছানোর নিরাপদ ও দ্রুততম মাধ্যম হলো উড়োজাহাজ। বর্তমানে মুহূর্তেই এই বিস্ময়কর যানে চেপে কয়েক মিনিট থেকে শুরু করে কয়েক ঘণ্টার মদ্যে পৌঁছে যাওয়া যায় দূর-দূরান্তের কোনো দেশে। বিশ্বে এমন পাঁচটি স্বাধীন রাষ্ট্র রয়েছে, যাদের কোনো বিমানবন্দর নেই। তবে এসব দেশে বিমানবন্দর না থাকলেও আছে অন্ততপক্ষে একটি করে হেলিপোর্টার। 

সান মারিনো: সান মারিনো বিশ্বের প্রাচীনতম রাজ্যগুলোর মধ্যে একটি। বিশ্বের ৫ম ক্ষুদ্রতম দেশ এটি। এটি সম্পূর্ণরূপে ইতালি দ্বারা বেষ্টিত। সান মারিনোর সমুদ্রে প্রবেশাধিকার নেই। যেহেতু এটি খুব ছোট তাই এর কোনো বিমানবন্দর নেই। এই দেশে ভ্রমণ করতে চাইলে আপনাকে ইতালির ফেদেরিকো ফেলিনি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টিকিট বুক করতে হবে।তারপর সেখান থেকে সান মারিনোতে পৌঁছানোর জন্য একটি ক্যাব বা ট্যাক্সি নিতে হবে। ওই বিমানবন্দর থেকে স্থানটির দূরত্ব মাত্র ২১ কিলোমিটার। এক ঘণ্টারও কম সময়ে সেখানে পৌঁছানো যায়।

মোনাকো: মোনাকো বিশ্বের দ্বিতীয় ক্ষুদ্রতম দেশ। দেশটির তিন দিকেই রয়েছে ফ্রান্স। দেশটির তিন দিকেই রয়েছে ফ্রান্স। আয়োতনের জন্য এর নিজস্ব কোনো বিমানবন্দর নেই। যারা মোনাকোতে ঘুরতে যান তাদের সবাইকে ফ্রান্সের নিস কোট ডি আজুর বিমানবন্দরে অবতরণ করতে হয়। পরে একটি ক্যাব বুক করতে হবে। কেউ আবার নৌকা ভাড়া করেও মোনাকোতে যান।

লিচেনস্টাইন: লিচেনস্টাইনও ছোট একটি দেশ। দেশটির আয়তন মাত্র ৭৫ কিলোমিটার। লিচেনস্টাইন বিমানবন্দর তৈরি করলে আংশিকভাবে রাইন, পূর্বে এবং পশ্চিমে অস্ট্রিয়ান পর্বতমালার জমি ব্যবহার করতে হবে। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে কূটনৈতিক দ্বন্দ্বে লিপ্ত হতে চায় না লিচেনস্টাইন। তাই বিমানবন্দর ছাড়াই রয়ে গেছে দেশটি। স্থানীয়রা প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জুরিখ বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য গাড়ি বা বাস ব্যবহার করে থাকে।

ভ্যাটিকান সিটি: এটি বিশ্বের সবচেয়ে ছোট দেশ। জনসংখ্যা মাত্র ৮শ’র কাছাকাছি। বিমান অবতরণ করার জন্য খুব বেশি জায়গা নেই দেশটিতে। নেই কোনো নদী বা সমুদ্র। কিন্তু এটিকে ঘিরে রয়েছে অন্যান্য বিমানবন্দর। যার মধ্যে রয়েছে রোমের সিয়াম্পিনো এবং ফিউমিসিনো। এসব বিমানবন্দর থেকে ভ্যাটিকান সিটিতে ট্রেনে যাওয়া যায়। সময় লাগে ৩০ মিনিটেরও কম।

এন্ডোরা: এন্ডোরা অন্যান্য দেশের মতো ছোট নয়। তবে এখানে সমস্যা পাহাড়। এটি ফ্রান্স এবং স্পেনের মধ্যে অবস্থিত। যা সম্পূর্ণভাবে পাহাড় দ্বারা বেষ্টিত। ৩০০০ মিটার উচ্চতার কাছাকাছি চূড়া রয়েছে। এ ধরনের উচ্চতায় উড়োজাহাজ উড্ডয়ন করা বিপজ্জনক। যে কারণে দেশটিতে কোনো বিমানবন্দর না রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button