Site icon Mohona TV

গত দুই মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে

ছবি: সংগৃহীত

দেশে রেমিট্যান্সে খরা অনেক দিন থেকেই। ডলার-সংকটের সময়ে কাঙ্ক্ষিত দর নেই বলে প্রবাসীরা বৈধ পথের চেয়ে হুন্ডিতেই বেশি টাকা পাঠাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে ঈদ ঘিরে দুই মাস ধরে রেমিট্যান্সপ্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। গত মাসের ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারি মাসেও এ ধারা বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সবশেষ তথ্য বলছে, চলতি ফেব্রুয়ারির ২৪ দিনে বৈধ পথে ১৬৪ কোটি ৬১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।

সেই হিসাবে দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৮৫ লাখ ডলার প্রবাসী আয় সংগ্রহ করা হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি মাসের ২৯ দিনে রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৯৯ কোটি ডলার। কিন্তু গত মাসের  মতো ৩১ দিনের হিসাব করলে সেই সম্ভাব্য পরিমাণ হবে ২১৩ কোটি ডলার, যা গত আট মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ড। কেননা গত জানুয়ারি ২০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। দৈনিক গড়ে ৬ কোটি ৪৮ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য বলছে, চলতি মাসের প্রথম ২৪ দিনে ব্যাংকিং চ্যানেলে ১৮ হাজার ১০৭ কোটি টাকার রেমিট্যান্স এসেছে (প্রতি ডলার ১১০ টাকা ধরে)। এর মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৭ কোটি ৫৫ লাখ ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ৬ কোটি ৩০ লাখ ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ১৪০ কোটি ৪০ লাখ ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩৫ লাখ ডলার।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বলেন, ডলার-সংকটে রেমিট্যান্সে উর্ধ্বমুখী ধারা অর্থনীতির জন্য সুখবর। এ ধারা অব্যাহত থাকলে সামনে রিজার্ভের ওপর চাপ কমবে। পাশাপাশি বৈদেশিক বাণিজ্যের ঘাটতি কমে আসবে। তবে অবৈধ পথের ওপর নজরদারি বাড়াতে হবে। তা হলে ব্যাংকিং চ্যানেলে আগের তুলনায় বেশি রেমিট্যান্স আসবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই মাসে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৯৭ কোটি, তা আগস্টে হয় ১৫৯ কোটি ৯৪ লাখ, আর সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয় ছিল ১৩৩ কোটি, অক্টোবরে ১৯৭ কোটি, নভেম্বরে ১৯৩ কোটি এবং ডিসেম্বর ১৯৯ কোটি ডলার। জানুয়ারিতে এর পরিমাণ ছিল ২০১ কোটি ডলার। বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ রয়েছে ২৫ দশমিক ১৬ বিলিয়ন ডলার।

author avatar
Mohona Online
Exit mobile version