জাতীয়

নারী দিবসের প্রতীক কেন বেগুনি রঙের?

মোহনা অনলাইন

প্রতিটি দিবসের একটি নিজস্ব রঙ ও প্রতীক আছে। আর নারী দিবসের প্রতীক হলো বেগুনি রং।  নারী দিবসের বেগুনি রং ভেনাসের। যা কি না নারীরও প্রতীক।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস মূলত বেগুনির সঙ্গে সাদার মিশেল কিংবা শুধুই বেগুনি। কারণ বেগুনি নির্দেশ করে সুবিচার ও মর্যাদার। যা দৃঢ়ভাবে নারীর সমতায়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম শেষে বেগুনি রং এখন নারীবাদীদের প্রতিবাদের এক অনন্য প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবসের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট আইডব্লিউডি ডটকম কেন বেগুনিকেই দিবসের প্রতীক রং ধরা হলো তা ব্যাখ্যা করেছে। বেগুনি রঙের সংমিশ্রণ যার সবুজ ও সাদা দেখা হয় নারীর সমমর্যাদার প্রতীক হিসেবে। এর সূত্রপাত ঘটেছিল ১৯০৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রে নারীর সামাজিক ও রাজনৈতিক ইউনিয়ন থেকে। বেগুনিকে দেখা হতো নারীর ন্যায়বিচার ও সম্মানের প্রতীক। সবুজ হলো আশা ও সাদা বিশুদ্ধতার প্রতিনিধিত্ব করে। ২০১৮ সাল থেকে নারী দিবসের থিম কালার হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বেগুনি।

সে বছর আন্তার্জাতিক প্রতিষ্ঠান প্যান্টন বেগুনি রঙকে নারী দিবসের রং হিসেবে ঘোষণা দেয়। এ বেগুনি দিয়ে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিকে বোঝানো হয়। আর নারীরা হবে ঠিক অতিবেগুনি রশ্মির মতো শক্তিশালী।

এছাড়াও আমেরিকান লেখক অ্যালিস ওয়ার্কার আফ্রিকান আমেরিকান নারীদের বৈষম্য নিয়ে একটি বই লেখেন, নাম ‘দ্য কালার পার্পেল।’ বইটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়। বইটি লিখে অ্যালিস প্রথম অশ্বেতাঙ্গ নারী হিসেবে পুলিৎজার পুরস্কার পান। এভাবেই বেগুনি জড়িয়ে পড়ে নারীর সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button