Site icon Mohona TV

মস্কো হামলায় আইএস’র দায় স্বীকার

ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়ার রাজধানী মস্কোয় কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০ জন হয়েছে। এদিকে হামলায় হতাহতের ঘটনায় দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ঘটনার পরপরই নিজস্ব সংবাদ সংস্থার মাধ্যমে এক বার্তা দিয়ে হামলার দায় স্বীকার করেছে আইএস। 

স্থানীয় সময় শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় বন্দুকধারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে ভিড়ের মধ্যে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

রাশিয়ার এই ঘটনাকে রক্তাক্ত সন্ত্রাসী হামলা বলে উল্লেখ করেছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শুক্রবার সন্ধ্যায় মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ সময় একদল বন্দুকধারী জনাকীর্ণ কনসার্ট হলে ঢুকে তাদের স্বয়ংক্রিয় রাইফেল দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি চালায়।

হামলাকারীরা কনসার্ট হলে ঢুকে একটি গ্রেনেডেরও বিস্ফোরণ ঘটায়, যাতে ভবনের ছাদে আগুন ধরে যায়। এরপর একটি সাদা রেনল্ট গাড়িতে করে পালিয়ে যায় তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রোকাস সিটির শপিংমলের কনসার্ট হল, রেস্টুরেন্ট, একুরিয়াম এবং বিয়ের অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন জায়গায় একযোগে এলোপাতাড়ি গুলি চালাতে থাকে একদল অস্ত্রধারী। পরে শপিংমলের বিভিন্ন জায়গায় বহু মরদেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়।

হামলায় হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ব বার্তাসংস্থা তাস জানিয়েছে, হামলায় হতাহতের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।

এদিকে এ ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি ওয়াশিংটনে ব্রিফিংয়ে বলেন, মস্কোর কনসার্ট হলে বন্দুকধারীদের হামলার ঘটনায় ইউক্রেনের বা ইউক্রেনীয়দের সম্পৃক্ততার কোনো আভাস পাওয়া যায়নি।

এদিকে চলতি মাসের শুরুর দিকেই রাশিয়ায় বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলার ব্যাপারে সতর্ক করেছিল দেশটির মার্কিন দূতাবাস। সতর্কবার্তায় মস্কোয় অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার জন্য বড় জমায়েত এড়িয়ে চলতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।  শুক্রবার ক্রোকাস সিটি হলে হামলার এ ঘটনার পর এবার মার্কিন নাগরিকদের রাশিয়া ভ্রমণ না করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন তারা।

প্রসঙ্গত ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করে রাশিয়া। তখন থেকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ চলছে।

 

author avatar
Online Editor SEO
Exit mobile version