সমিতির চাঁদায় সমবায় দিবস পালিত,কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ

আলহাজ হোসেন,কালিয়াকৈর (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপনের নামে প্রায় তিনশ সমিতি থেকে কয়েক লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

শনিবার ( ০৫ নভেম্বর ২০২২) সকালে ওই দিবস উপলক্ষে র‌্যালী ও আলোচনা সভা শেষে চাঁদার টাকার খাবার পরিবেশনেও হট্রোগোল সৃষ্টি হয়। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা।

উপজেলা সমবায় অফিস ও বিভিন্ন সমিতি সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় তিনশ সমিতি রয়েছে। কিন্তু জাতীয় সমবায় দিবস উপলক্ষে গত কয়েক দিন ধরে প্রায় সমিতি প্রতি ২ হাজার থেকে ১০ হাজার

টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করেছে উপজেলা সমবায় অফিস। সমবায় কর্মকর্তা সাবিরা খান ও তার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মিলে প্রায় কয়েক লাখ টাকা চাঁদাবাজি করে বলে বিভিন্ন সমিতির সদস্যদের অভিযোগ।

ওই চাঁদার টাকায় শনিবার সকালে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা সমবায় অফিসের উদ্যোগে জাতীয় সমবায় দিবসের আয়োজন করা হয়। এ উপলক্ষ্যে উপজেলা চত্তরে একটি র‌্যালি ও উপজেলা হলরুমে আলোচনা সভার মাধ্যমে দিবসটি পালন করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন- উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম আজাদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিনসহ আরো অনেকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা সমবায় অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিভিন্ন সমিতির লোকজন।

কিন্তু অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা সমবায় অফিসে খাবার বিতরনের সময় হট্রোগোলের সৃষ্টি হয়। হট্রোগোলের এক পর্যায়ে রাগারাগি করে বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা সেখান থেকে চলে যায়। এসময় উপজেলা অটোরিকশা মালিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত বিপ্লব হোসেন বলেন, আমাদের সমিতি থেকে দুই হাজার টাকা চাঁদা দিয়েছি। কিন্তু আমাদের সমিতির নামও ঘোষণা করেনি। খাবার নিতে গেলেও সমবায় অফিসের লোকজন উল্টো আমাদের মিথ্যাবাদী বলে অফিস থেকে বেড়িয়ে যেতে বলে।

অপর দিকে শ্রীফলতলী অটোরিকশা ভ্যান চালক সমিতির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ইনছাদ আলী জানান, এ অনুষ্ঠানের জন্য প্রতি বছর আমরা এক হাজার করে টাকা দেয়। কিন্তু এ বছর অনুষ্ঠানের নামে ওই অফিসের চাপের মুখে দুই হাজার টাকা দিয়েছি। অফিসের লোকজন আবার আমাদের সাথে খারাপ আচরণ করছেন। এছাড়াও বিভিন্ন সমিতির সদস্যরা অভিযোগ করে বলেন, লাখ লাখ টাকার চাঁদা আদায় হলেও সবাই খাবার পাননি।

এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে উপজেলা সমবায় অফিসে গেলেও কর্মকর্তা সাবিরা খান কৌশলে সাংবাদিকদের বসিয়ে রেখে তিনি পালিয়ে যান। বার বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে চাঁদা আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে ওই অফিসের সহকারী পরিদর্শক আসাদুজ্জামান বলেন, এ বিষয়টি স্যার বলতে পারবেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ জানান, সমিতিগুলো থেকে কত টাকা নিয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে ।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button