জাতীয়

স্বপ্ন ছিল প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক হবো: প্রধানমন্ত্রী

মোহনা অনলাইন

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন থাকলেও নানান প্রতিকূলতায় তা পূরণ হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‌আমার জীবনের একটা স্বপ্ন ছিল যে শিক্ষক হবো। সেটাও আবার প্রাইমারি স্কুলের। আমি তাই হতে চেয়েছিলাম। ওটা আমার খুব পছন্দের ছিল। কিন্তু আর হলো না।

রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে বিনামূল্যে শিক্ষার্থীদের মাঝে পাঠ্যপুস্তক বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV গুগল নিউজে ফলো করুন Mohona TV

কেন স্বপ্ন পূরণ হয়নি তাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘কারণ আমার বাবা সারাজীবন সংগ্রামের মধ্যে দিয়ে গেছেন। এ বাংলাদেশের মানুষের কথা বললেই তখনকার সরকার তাকে গ্রেফতার করতো, জেলে নিয়ে যেতো। বারবার আমাদের পড়াশোনায়ও বাধাগ্রস্ত হতো। তারপরও চেষ্টা করতাম। তবে পড়াশোনা শেষপর্যন্ত আর শেষই করতে পারিনি।’

যখন আমি মাস্টার্সে পড়তে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি তখনই ৭৫-এ আমার বাবা-মাসহ সবাইকে মেরে ফেলা হয়। তখন আমি আমার ছোট বোন ছিলাম দেশের বাইরে। তখনও ছোট বোনেরও পরীক্ষা ছিল। আমরা আর তখন দেশে আসতে পারিনি। কারণ তখন যারা সরকার ছিল তারা আমাদের আসতে দেয়নি। প্রায় ছয় বছর আমাদের বিদেশে থাকতে হয়েছিল, রিফিউজি হিসেবে। ফলে আমার মাস্টার্সটাও শেষ করতে পারিনি, আমার ছোটবোনও পড়াশোনা শেষ করতে পারেনি। তারপরও আমরা শিক্ষাটাকে গুরুত্ব দেই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ছেলেমেয়েদের একটা শিক্ষা দেই, আমাদের কোনো সম্পদ আমরা রাখবো না, একটাই সম্পদ তোমাদের সঙ্গে শিক্ষা। পড়াশোনা করে তো নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে হবে। ওরা সেটাই করেছে, নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে। আজকে আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করেছি, কাজেই এই ডিজিটাল বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে ছোট ছেলে মেয়েরাই এখন অনলাইনে সব ধরনের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আমরা ওয়াইফাই কানেকশন সারা বাংলাদেশে করে দিয়েছি।

সরকারপ্রধান বলেন, বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে শিক্ষা কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হয়েছে। দারিদ্যমুক্ত দেশ গড়তে শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রযুক্তিজ্ঞানসম্পন্ন জাতি গড়তে করণীয় সবই সরকার করে দিয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে প্রয়োজন স্মার্ট জনশক্তি।

সরকার শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা বাংলাদেশকে দারিদ্র্যমুক্ত দেশ হিসেবে গড়তে চাই। একমাত্র শিক্ষাই পারে। শিক্ষিত জাতি ছাড়া দারিদ্র্যমুক্ত হয় না। এজন্য আমরা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। আমরা বাজেটেও বেশি টাকা রাখি। সেটাকে বহুমুখী করার ব্যবস্থাটা করে দিচ্ছি।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button