জাতীয়

চান্দগাঁও-বোয়ালখালী চট্টগ্রাম-৮ উপনির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে

মোহনা অনলাইন

সকাল ৮ থেকেই শান্তিপূর্ণ পরিবেশে  শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনের উপনির্বাচনের ভোটগ্রহণ।

১৯০ টি কেন্দ্রের ১ হাজার ৪১৪টি কক্ষে ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত।

এই আসনটির ১৯০ কেন্দ্রের মধ্যে ৭৬ কেন্দ্রকে গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন।

গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে ১৭ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।  এ ছাড়া সাধারণ কেন্দ্রের জন্য ১৬ জন করে পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে।

অন্যদিকে সুষ্ঠু ভোটগ্রহণের জন্য ২৬ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবং ৩ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

এবারের নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থী ভোটের মাঠে রয়েছেন।

প্রার্থীরা হলেন-

আওয়ামী লীগের প্রার্থী নগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ (নৌকা),

বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের সেহাব উদ্দিন মোহাম্মদ আবদুস সামাদ (মোমবাতি)

ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশের অধ্যক্ষ এসএম ফরিদ উদ্দিন (চেয়ার)

এনপিপির কামাল পাশা (আম), এবং স্বতস্ত্র প্রার্থী মীর মো. রমজান আলী (একতারা)।

নোমান আল মাহমুদ এবং  স উ ম আবদুস সামাদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা তনা হচ্ছে ।

প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন প্রিসাইডিং কর্মকর্তা, একজন সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তা ও দুজন করে পোলিং অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

অতিরিক্ত কর্মকর্তা মিলে প্রায় ৪ হাজার ৬৫০ জন কর্মকর্তা দায়িত্বে থাকবেন।

এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে রয়েছে পুলিশ-আনসার ও র‌্যাব। স্ট্রাইকিং ফোর্স বিশেষ করে বিজিবি মোবাইল টিম দায়িত্ব পালন করবে।

প্রতিটি মোবাইল টিমে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন।

চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ হাসানুজ্জামান বলেন, সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

নির্বাচন ঘিরে অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো ধরনের অভিযোগও আসেনি।

নির্বাচনে পর্যাপ্ত পুলিশ, আনসার ও র‍্যাব মোতায়েন রয়েছে।

পাশাপাশি জুডিশিয়াল এবং নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। আশা করি শান্তিপূর্ণ উপায়ে নির্বাচন শেষ হবে।

মহাজোটের শরিক হিসেবে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) নেতা মইন উদ্দিন খান বাদল ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ২০১৯ সালের ৭ নভেম্বর মারা যান।

মারা যাওয়ার পর ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারির উপনির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন মোছলেম উদ্দিন আহমদ।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর একটি হাসপাতালে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সংসদ সদস্য মোছলেম উদ্দিন আহমদ মারা যান। এর পর আসনটি আবারও শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।

author avatar
Editor Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button