অর্থনীতি

রপ্তানি আয় দেশে ফেরাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশ

মোহনা অনলাইন

পণ্য রপ্তানি হলেও নির্ধারিত সময়ে যেসব রপ্তানি আয় দেশে আসেনি, আটকে থাকা সেই অর্থ দ্রুত দেশে আনতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।

বুধবার (১৮ অক্টোবর) অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকারস, বাংলাদেশ (এবিবি) নেতাদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মেজবাউল হক।

বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে বিনিময়হার বাজারভিত্তিক করা, হুন্ডি প্রতিরোধ এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদহার বৃদ্ধির প্রভাব, ব্যাংকের তারল্য পরিস্থিতি, সিআইবি তথ্য হালনাগাদ, খেলাপি ঋণের উচ্চহার ও সাম্প্রতিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।

ডলারের বিনিময় হারের নিয়ম না মানায় যে দশ ব্যাংকের ট্রেজারি প্রধানদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করেছিল বাংলাদেশ ব্যাংক, তার মধ্যে কয়েকটি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকরাও উপস্থিত ছিলেন বৈঠকে।

এবিবি চেয়ারম্যান ও ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আরএফ হোসেন বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বলেন, গভর্নর বিশ্ব ব্যাংক-আইএমএফ এর বৈঠকে যোগ দিতে মরক্কো গিয়েছিলেন। সেখান থেকে ফেরার পর ওই বৈঠকের আলোচনার বিষয়বস্তু এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা নিয়ে কথা বলেছেন। আমরাও কয়েকটা বিষয় জানালাম।

রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে ৫৫ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, রপ্তানি আয় এসেছে ৪৬ বিলিয়ন ডলার।

বাকি থাকা ৯ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে বেশকিছু অর্থ ‘ডেফার্ড হয়েছে’ বলে ব্যাংকারদের পক্ষ থেকে বৈঠকে জানানো হয়। কিন্তু কতটা পিছিয়েছে বা কতটুকু রপ্তানি আয় দেশে আসছে না, তার কোনো সঠিক তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংক সাংবাদিকদের জানায়নি।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা ধারণা দিয়ে বলেছেন, না আসা রপ্তানি আয়ের পরিমাণ ৩-৪ বিলিয়ন ডলার হতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক সাংবাদিকদের বলেন, কিছু রপ্তানি আয় ডেফার্ড হয়েছে সত্য। তারপরও ডেফার্ড হওয়া রপ্তানি আয় বাদ দিলে বড় একটি অংশ দেশে আসেনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে দ্রুত ব্যাংকগুলোকে রপ্তানি আয় দেশে ফেরত নিয়ে আসতে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের অক্টোবরের মধ্যে আটকা থাকা রপ্তানি আয় দেশে ফেরত আনতে নির্দেশনা দিয়েছে। কী পরিমাণ অর্থ দেশে আসতে পারে জানতে চাইলে সেলিম আরএফ হোসেন বলেন, গভর্নর জানিয়েছেন, অনেক রপ্তানি আয় দেশে আসেনি।

ব্যাংকগুলো চেষ্টা করবে যথা সময়ে রপ্তানি আয় দেশে নিয়ে আসতে। গভর্নরও আহ্বান জানিয়েছেন তা ফেরত আনতে।

author avatar
Delowar Hossain Litu
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button