স্বাস্থ্য

কোন সমস্যায় কোন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

মোহনা অনলাইন

অসুখ হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়! কিন্তু কোন ধরনের সমস্যায় কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হয় ,তা নিয়ে দ্বিধায় পড়েন অনেকেই। রোগী কিংবা রোগীর স্বজন হিসেবে আপনার প্রথমেই জানার কথা নয়, কোন রোগে ভুগছেন আপনি বা আপনার আপনজন। আপনি কেবল কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারেন। এই কষ্টই হলো ‘উপসর্গ’,চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যা আপনাকে বলতে হবে। উপসর্গ হতে পারে হাজারো রকম।

উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা

১.হঠাৎ শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া,মুখ বেঁকে যাওয়া,কথা জড়িয়ে যাওয়া,প্রসাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারানো,অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কিংবা খিঁচুনির মতো সমস্যায় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এগুলো স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে। দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক জটিলতা এড়ানো যাবে। সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি,রক্তজমাট বেঁধে স্ট্রোক হলে আপনাকে চিকিৎসা দেবেন নিউরোমেডিসিন (স্নায়ুরোগ) বিশেষজ্ঞ এবং রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হলে আপনার চিকিৎসা করবেন একজন নিউরোসার্জন। এই দুই বিভাগের চিকিৎসকের কাছে আপনি চিকিৎসা পাবেন অবশ্যই। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁছতে না পারলে মূল্যবান ‘সময়’ হারিয়ে যাবে রোগীর জীবন থেকে।কোনো বিশেষজ্ঞই এই সময়কে ফিরিয়ে আনতে পারবে না।

২। ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেহের প্রতিটি অংশের চিকিৎসা দিতে পারেন (সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের বিষয়াদি বাদে) যেমন- শ্বাসকষ্ট,বুকে ব্যথা,প্রচণ্ড পেটব্যথা,প্রসাব আটকে যাওয়া,রক্তবমি।

৩। কাশি বা শ্বাসকষ্টের জন্য বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে,কেবল ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাতেই শ্বাসকষ্ট হয় না। হৃৎপিণ্ডের সমস্যাতেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি রক্তশূন্যতার রোগীও একপর্যায়ে শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারেন।

৪। হৃদ্‌রোগের জন্য হৃদ্‌রোগ বিশেষজ্ঞ যেমন রয়েছেন, তেমনি হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের জন্য কার্ডিয়াক সার্জনও রয়েছেন।

৫। পেটব্যথা,অ্যাসিডিটি,বমি,পাতলা পায়খানার জন্য যেতে পারেন পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের কাছে।

৬। হাড় ভেঙে বা মচকে গেলে কিংবা হাড়ে টিউমার জাতীয় কিছু দেখা দিলে অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।

৭। শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার জন্য যেতে পারেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে (ফিজিওথেরাপিস্ট নয়)।

৮। নখ উপড়ে গেলে,পায়ুপথের সমস্যা কিংবা দীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য হলে জেনারেল সার্জনের কাছে যেতে পারেন।

৯। প্রসাবের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলে,মুখ ফুলে গেলে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

১০। পেট ফোলা বা রক্তবমির মতো সমস্যা হতে পারে লিভারের সমস্যায়। লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

১১। প্রস্রাব করতে অসুবিধা হলে,অল্প অল্প করে প্রস্রাব ঝরলে ইউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।

১২। মাসিক অনিয়মিত হলে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিসের জন্যও তাঁরাই বিশেষজ্ঞ।

১৩।রক্তরোগ (রক্তের ক্যান্সারসহ) চিকিৎসা দেন হেমাটোলজিস্ট। অন্যান্য ক্যান্সারের চিকিৎসা দেন অনকোলজিস্ট।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button