জাতীয়

আজ ঘোষণা করা হবে উপজেলা নির্বাচনের তপশিল

মোহনা অনলাইন

আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে ১৫৩টি পরিষদের পূর্ণাঙ্গ তফসিল নির্ধারণ করতে সভায় বসতে যাচ্ছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন।

আজ বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে বেলা ১১টায় এ সভা হওয়ার কথা রয়েছে। সভার পর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। বুধবার (২০ মার্চ) দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানান।

চার ধাপের এ ভোট আগামী ৪ মে থেকে শুরু করে ২৫ মে শেষ করতে চায় কমিশন। বলা হয়েছে, প্রথম ধাপ ৪ মে, দ্বিতীয় ধাপ ১১ মে, তৃতীয় ধাপ ১৮ মে ও চতুর্থ ধাপে ২৫ মে ভোট হবে। দেশে বর্তমানে ৪৯৫টি উপজেলা রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেন, উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধিমালা নির্বাচন পরিচালন বিধিমালায় কিছু পরিবর্তন এনে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠিয়েছিলাম। আইন মন্ত্রণালয় ভেটিং করে পাঠিয়েছে। বিজি প্রেস থেকে প্রিন্ট হয়ে গেজেট হয়ে গেছে।

এদিকে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে জামানতের পরিমাণ ১০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ভাইস চেয়ারম্যান পদে জামানত ৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে ভোটারের সমর্থনসূচক সইসহ তালিকা জমা দেওয়ার বিধানও বাদ দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বিধিমালা ও আচরণবিধিমালায় আরও কিছু সংশোধনী আনা হয়েছে। আইন মন্ত্রণালয়ের ভেটিং শেষে এসব সংশোধনী প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করেছে ইসি। মঙ্গলবার এটি প্রকাশ করা হয়। এর আগে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি এসব সংশোধনী আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ইসি।

নির্বাচন কমিশনের সকল প্রস্তাব আইন মন্ত্রণালয় সম্মতি দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মোটাদাগে যা চেয়েছি তাই রয়েছে। ২৫০ জনের স্বাক্ষরের বিষয়টা উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

প্রার্থীদের জন্য উপজেলা ভোট করতে সহজ হবে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রার্থিতা বাতিল হয় ১ শতাংশ সমর্থন স্বাক্ষরের জন্য। ২৫০ জনের স্বাক্ষর নেওয়াতো কঠিন কাজ ছিল। সে কাকে ভোট দিবে এটা প্রকাশ করতে চায় না। ভোটাররা স্বাক্ষর দিয়ে চায় না বলে অনেকে জাল স্বাক্ষর নেয়। ওই বিষয় চিন্তা করে কমিশন মনে করেছে এটা খুব কঠিন। তাই এক্ষেত্রে সহজ হবে স্বতন্ত্র হিসেবে ভোট করতে।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ আরপিও তে কোনো পরিবর্তন করবেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, আরপিও তো আইন। আইন সংশোধন করতে একটু সময় লাগে। এটা তো আইন না বিধি। এটা কমিশন সিদ্ধান্ত নিবে। সেটা কমিশন সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে জানিয়েছে, তারা এবার স্থানীয় সরকারের কোনো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেবে না। অন্যদিকে সংসদ নির্বাচন বর্জন করা বিএনপির দলীয়ভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা কম। ফলে এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হবে মূলত স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button