চট্টগ্রাম

কক্সবাজার-১ আসনে সুষ্ঠু নির্বাচনী নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান সিইসি বরাবর আবেদন

মোহনা অনলাইন

কক্সবাজার-১ (চকরিয়া-পেকুয়া) আসনে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি ও নিরাপত্তা চেয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) কাছে আবেদন করেন চকরিয়া ও পেকুয়া উপজেলার ১৭ জনপ্রতিনিধি। সবাই এ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সংসদ সদস্য জাফর আলমের পক্ষের লোক।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে সিইসির কার্যালয়ে আবেদন পৌঁছে দেন চকরিয়ার ডুলাহাজারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম ও পেকুয়া উপজেলার শিলখালী ইউপির চেয়ারম্যান কামাল হোছাইন।

জনপ্রতিনিধিদের সই করা আবেদনে জানানো হয়, কক্সবাজার-১ আসনে বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির প্রার্থীর চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষে কাজ করার জন্য বিভিন্ন মহল থেকে ওপর চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। এ অবস্থায় তারা সুষ্ঠু নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে মনে করছেন।

এতে বলা হয়, সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষাবলম্বন না করলে অস্ত্র-মাদক উদ্ধার, অফিস পোড়ানোসহ বিভিন্ন মামলায় জড়িয়ে বা তুলে নিয়ে প্রশাসনিক হয়রানি-নির্যাতনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে, যা সংবিধান প্রদত্ত মৌলিক অধিকারের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। এ ধরনের চাপ প্রয়োগ ও অপতৎপরতা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পথে বড় অন্তরায়।

জানা গেছে, আবেদনে সই করা ১৭ জনপ্রতিনিধির মধ্যে নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচজন, নৌকার বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন সাতজন ও জামায়াত সমর্থিত দুজন ইউপি চেয়ারম্যান আছেন। এছাড়া দুজন জেলা পরিষদ সদস্য ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছেন। জেলা পরিষদ সদস্যদের মধ্যে সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য তানিয়া আফরিন স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের মেয়ে।

আবেদনে সই করা কক্সবাজার জেলা পরিষদের সদস্য মোহাম্মদ শওকত গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমের কর্মী। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মতে, আমরা স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি।

এমতাবস্থায়, বর্তমান সংসদ সদস্য ও ট্রাক গাড়ি প্রতীকের সতন্ত্র প্রার্থী  জনাব জাফর আলমের পক্ষে নির্বাচনে অংশগ্রহণ বা কাজ না করায় এবং বিপক্ষের হাতঘড়ি মার্কায় প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনী কাজে অংশগ্রহণ করায় তিনি নিজে এবং তাহার গঠিত নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দ্বারা অবৈধ অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে গুম ও হত্যার হুমকি প্রদান করে যাচ্ছেন। তাই জীবনের নিরাপত্তায় শঙ্কিত হয়ে আমরা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আবেদন করেছি।

এদিকে পেকুয়ার একটি নির্বাচনী পথসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ২০ ডিসেম্বর চকরিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদ থেকে সাময়িকভাবে অব্যাহতি দেওয়া হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী জাফর আলমকে। সাত দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব না দিয়ে জাফর আলমকে দলের পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ পাঠানো হবে মর্মে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে জেলা আওয়ামী লীগ কল্যাণ পার্টির প্রার্থী সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের পক্ষে নেমেছে। যেহেতু এ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী নেই।

 

 

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button