Top Newsখেলাধুলা

শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’

মোহনা অনলাইন

ক্রিকেট জগতে কেউ তাকে বলে ‘ক্রিকেটের বরপুত্র’ আবার কারও চোখে তিনি খোদ ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’। তাকে বলা হয় আধুনিক ব্রাডম্যান। তিনি খেলা মানেই স্টেডিয়ামে জনসমুদ্র। আজ (২৪ এপ্রিল) লিটিল মাস্টারের ৫১ তম জন্মদিন। ১৯৭৩ সালে আজকের দিনে ভারতের মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। বলছি শচীন টেন্ডুলকারের কথা।

শচীন টেন্ডুলকার নামে বিশ্বজুড়ে পরিচিত হলেও তার পুরো নাম শচীন রমেশ টেন্ডুলকার। ১৯৭৩ সালের ২৪ এপ্রিল মুম্বাইয়ের মহারাষ্ট্রে শচীনের জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা রমেশ টেন্ডুলকার ও মা রজনী টেন্ডুলকার। বলা হয়, রমেশ বিখ্যাত ভারতীয় সুরকার শচীন দেববর্মণের নামানুসারে তার নাম শচীন রাখেন।

যিনি না জন্মালে পূর্ণতা পেতো না জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা ক্রিকেট। একের পর এক রেকর্ডের মালা উঠতো না কারও গলায়। ক্রিকেট আকাশে জ্বলতে দেখা যেতো না সবচেয়ে উজ্জ্বল তারাটি। ‘বিশ্বে দু’ধরনের ব্যাটার হয়। এক, শচীন টেন্ডুলকার। দুই, বাকি সবাই।’ ক্রিকেট ইতিহাসে তার নামটি ওপরের সারিতে রাখতেই হবে।

শিবাজী পার্কে শ্রী রমাকান্তের হাত ধরে শুরু হয় শচীনের প্রাতিষ্ঠানিক ক্রিকেট শিক্ষা। স্কুল ক্রিকেটে খেলেছেন অনেক ম্যাচ, স্কুল থেকে পাওয়া লম্বা ছুটি কাটাতেন পুরোটাই ক্রিকেট অনুশীলন করে। যে ক্রিকেটের প্রতি তার এত ভালোবাসা জীবনের শুরু থেকেই, সেই ক্রিকেট নামক মহাকাব্যের মহানায়ক সে হবে না তো কে হবে!

১৯৮৯ সালের নভেম্বরে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল শচীনের। এর পরের গল্পটা তো সবারই জানা। ক্রিকেট অভিধানের প্রায় সব রেকর্ডই নিজের নামের পাশে যোগ করে ‘লিটল মাস্টার’ উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন। ক্রিকেট ইতিহাসে গ্রেট গ্রেট ব্যাটসম্যানের অভাব নেই। যুগে যুগে ভিন্ন ভিন্ন তারকা ব্যাটসম্যানদের দেখেছে ক্রিকেট-বিশ্ব। কিন্তু শচীনের মতো ব্যাটসম্যানের দেখা মিলেছে একবারই। ব্যাট-প্যাড তুলে রাখার ঘোষণা দেওয়ার আগে শচীন নিজেকে যে উচ্চতায় নিয়ে গেছেন অন্য ব্যাটসম্যানদের চোখে তা স্রেফ স্বপ্ন!

অভিষেকের পর থেকে অবসর নেওয়ার আগ পর্যন্ত টেস্ট শচীন টেস্ট খেলেছেন ২০০টি। যাতে ৫৩.৭৮ গড়ে রান করেছেন ১৫ হাজার ৯২১। ৫১টি শতক ও ৬৮টি অর্ধশতকে এই রান করেন লিটল মাস্টার। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ২৪৮ রান। হাত ঘুরিয়ে উইকেটও নিয়েছেন ৪৬টি।

‘৯২, ’৯৬, ’৯৯, ২০০৩, ’০৭ – টানা ৫টি বিশ্বকাপ খেলেও বিশ্বকাপটা উঁচু করে তোলা হয়নি শচীনের। আক্ষেপটা ঘোচে ২০১১ বিশ্বকাপে, বিশ্বকাপহীন তাই থাকতে হয়নি ক্রিকেট রাজ্যের রাজাকে। মাঝে ২০০৩ বিশ্বকাপে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হন শচীন; ১৯৯৬ আর ২০০৩ বিশ্বকাপে ছিলেন সর্বাধিক রানসংগ্রাহক। ১৯৯৯ বিশ্বকাপ চলাকালীন হারান নিজের বাবাকে। বাবার মৃত্যুতে দেশে ফিরে এসে আবারও ফিরে যান ইংল্যান্ডে; ইস্পাতদৃঢ় মনোবল নিয়ে ঠিকই খেলে যান বিশ্বকাপ, সেঞ্চুরিও হাঁকান।

ঈর্ষনীয় সব রেকর্ড দখলে বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার। ৬৬৪ আন্তর্জাতিক ম্যাচে রান ৩৪ হাজার ৩৫৭। শতরানের সেঞ্চুরি তো রয়েছেই নামের পাশে। ভারতীয় ক্রিকেটই নয়, বিশ্ব ক্রিকেট বদলে দেওয়া এই কিংবদন্তি ক্রিকেটকে বিদায় বলেছেন ২০১৩ সালে। কিন্তু এখনো শচীন মানেই এক আবেগের নাম। শুভ জন্মদিন ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’।

 

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button