জাতীয়

প্রতিবেশীর সঙ্গে বন্ধুত্ব উন্নয়নে সহায়ক

মোহনা অনলাইন

প্রতিবেশীর সঙ্গে যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রাখলে দেশের উন্নতি হয়, আমরা সেটাই প্রমাণ করেছি। আমি মনে করি বিশ্বের জন্য এটা একটা দৃষ্টান্ত।’ ভারতের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নকে বাংলাদেশ সর্বাধিক গুরুত্ব দেয় বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। 

তিনি বলেন, আমাদের সরকার অবকাঠামো উন্নয়নে জোর দিয়েছে। এর মধ্যে পদ্মা বহুমুখী সেতু আঞ্চলিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় অবদান রাখবে। এ ছাড়া দেশে মেট্রোরেল পরিষেবা চালু করেছি। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে বঙ্গবন্ধু টানেল হয়েছে।মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়েছেন। আমি সত্যিই খুব খুশি। তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই।

শেখ হাসিনা গতকাল বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ভারতের সহায়তায় বাস্তবায়নাধীন তিনটি উন্নয়ন প্রকল্পের যৌথ উদ্বোধনকালে দেওয়া ভাষণে এসব কথা বলেন। ঢাকা থেকে শেখ হাসিনা এবং নয়াদিল্লি থেকে নরেন্দ্র মোদি অনুষ্ঠানে যুক্ত ছিলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহাও এতে ভার্চুয়ালি অংশ নেন।

প্রকল্প তিনটি হলো আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগ; খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-২। সরকারপ্রধান বলেন, আজকে যে তিনটি প্রকল্প আমরা উদ্বোধন করেছি তা উভয় দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। এই প্রকল্পগুলো আঞ্চলিক যোগাযোগের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেও আমি বিশ্বাস করি।

তিনি বলেন, মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্লান্টটি আরও সাশ্রয়ী মূল্যে নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ প্রদানের মাধ্যমে বাংলাদেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে বিশেষ অবদান রাখার পাশাপাশি সাশ্রয়ী ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহে সহায়তা করবে। আখাউড়া-আগরতলা রেল সংযোগ দুদেশের জনগণের মধ্যে বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্ব অংশের সঙ্গে সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিকরণ এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করবে। আর খুলনা-মোংলা বন্দর রেল সংযোগ প্রকল্পটি মোংলা বন্দরকে বিদ্যমান রেল নেটওয়ার্কের সঙ্গে সারাসরি যুক্ত করবে। এতে আমদানিকৃত কন্টেইনারগুলো সহজেই রেলের সাহায্যে দেশের উত্তর-পূর্ব ও পশ্চিমাঞ্চলে পরিবহন সম্ভব হবে।

আঞ্চলিক সহযোগিতার ক্ষেত্র হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর এবং চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ভারতের জনগণ যাতে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য তার সরকার উন্মুক্ত করে দিয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের ভাষণে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে, আমরা আবার ভারত-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা উদযাপন করতে একত্র হয়েছি। আমাদের সম্পর্ক আপাত দৃষ্টিতে নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করতে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

 

author avatar
Delowar Hossain Litu
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button