জীবনধারা

শুধু খ্যাতির জন্য নয়, সন্তানকে ক্রিকেট খেলা শেখাতে পারেন ৫ কারণে

মোহনা অনলাইন

৩০ বছর আগের ক্রিকেটদুনিয়া এখনকার মতো বর্ণময় ছিল না। প্রচার, খ্যাতি, বিনোদন, অর্থ— কোনও দিক থেকেই পিছিয়ে নেই ক্রিকেট। সেই সব সাত-পাঁচ ভেবেই সন্তানদের ক্রিকেট খেলা শেখানোর বিষয়ে বেশি আগ্রহ প্রকাশ করেন অভিভাবকেরা।

তবে পাড়ার ‘গলি ক্রিকেট’-এর বাউন্ডারি পেরিয়ে জীবনের বাইশ গজে ছক্কা হাঁকাতে গেলে যে নিষ্ঠা, নিয়মানুবর্তিতা থাকতে হয়, তা ক্রিকেট থেকে শেখা যায়। এ ছাড়া, আর কী কী শেখাতে পারবেন?

নিয়মানুবর্তিতা: শুধু স্কুলের পোশাক বা প্রার্থনার লাইনে দাঁড়ালেই কিন্তু নিয়মানুবর্তিতা শেখা যায় না। খোলা আকাশের নীচে খেলার মাঠেও তা শেখা যায়। খেলার নিয়ম, সময়, পছন্দ না হলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়ার মধ্যে দিয়েও নিয়মানুবর্তিতা শেখা যায়।

চিন্তাভাবনা: ক্রিকেট খেলতে গেলে বুদ্ধিতে শান দিতে হয়। একেবারে সাদামাঠা বুদ্ধি নিয়ে পুথিগত শিক্ষা নেওয়াই যায়। তবে সামনে থাকা প্রতিপক্ষের সঙ্গে পাল্লা দিতে গেলে একটু কৌশল জানা প্রয়োজন। ছোট থেকে ক্রিকেট খেলার মাধ্যমে এই কৌশল শিখে যেতে পারলে, পরবর্তী কালেও তা কাজে লাগে।

শারীরিক সক্রিয়তা: ক্রিকেট খেলতে গেলে দৌড়নো, ব্যাট করা, ফিল্ডিং করতে হয়। ক্রিকেট খেললে শরীরচর্চার অনেকটাই হয়ে যায়। ফুটবল ছাড়া অন্যান্য খেলায় এতটা শরীরচর্চা হয়তো সম্ভব নয়।

 ধৈর্য: যে কোনও খেলাধুলোতেই ধৈর্য লাগে। উল্টো দিক থেকে আসা বল কী ভাবে ব্যাটে ঠেকালে তা চার, ছয় রান দিতে পারে তা বুঝতে গেলে ধৈর্য ধরে লক্ষ করতে হয়। এই ধৈর্য পরবর্তী কালে সব ক্ষেত্রেই কাজে লাগে।

একতা: একজোট না হলে ক্রিকেটের মতো একটি খেলায় অংশ নেওয়া যায় না। ক্রিকেট আসলে খেলার ছলে দলের ১১ জন সদস্যকে একজোট হতে শেখায়। দলবদ্ধ হয়ে কাজ করার শিক্ষা যদি খেলার মাধ্যমে সন্তানকে দেওয়া যায়, সে ক্ষেত্রে জীবনে অনেক শিক্ষাই সহজ হয়ে যাবে।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button