খেলাধুলা

শরিফুলের হ্যাটট্রিকের ম্যাচে কুমিল্লার সংগ্রহ ৬ উইকেটে ১৪৩ রান

মোহনা অনলাইন

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের দশম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচেই  বল হাতে হ্যাটট্রিক  করেছেন দুর্দান্ত ঢাকার  পেসার শরিফুল ইসলাম। উদ্বোধনী দিনের প্রথম ম্যাচে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে  এ কৃতিত্ব দেখান  গত বছর  জাতীয় দলের হয়ে সফল একটি বছর কাটানো শরিফুল। বিপিএল ইতিহাসে সপ্তম ও শরিফুলের প্রথম হ্যাটট্রিকের ম্যাচে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ৬ উইকেেট ১৪৩ রান করে কুমিল্লা। দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৫৬ বলে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেন।
মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে কুমিল্লাকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রন জানায় ঢাকা। ব্যাট হাতে নেমে সাবধানী শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার লিটন দাস ও ইমরুল কায়েস। প্রথম ৩ ওভারে মাত্র  ১৩ রান পায় কুমিল্লা।
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে প্রথমবারের মত আক্রমনে আসা শ্রীলংকার স্পিনার চাতুরাঙ্গা ডি সিলভাকে ১টি চার-ছক্কা মারেন এবারের আসরে কুমিল্লার অধিনায়ক হওয়া লিটন। কিন্তু একই ওভারের শেষ বলে পয়েন্টে মোহাম্মদ নাইমকে ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেন ১৬ বলে ১৩ রান করা লিটন।
২৩ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙার পর তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে কুমিল্লার রানের চাকা সচল রাখেন ইমরুল। এতে পাওয়ার প্লেতে শেষে ৪৪ রান পায় কুমিল্লা।
অষ্টম ওভারে পাকিস্তানের স্পিনার উসমান কাদিরের বলে ছক্কা মারতে গিয়ে আকাশে বল তুলে দেন ইমরুল। সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি ঢাকার অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন।
২৩ রানে জীবন পেয়ে ৪২ বলে টি-টোয়েন্টিতে ১৪তম হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ইমরুল। হাফ-সেঞ্চুরির পথে ছিলেন হৃদয়ও। ১৯তম ওভারে তৃতীয়বারের মত আক্রমনে এসে হৃদয়কে হাফ-সেঞ্চুরির আগেই থামান ঢাকার পেসার তাসকিন আহমেদ। ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ বলে ৪৭ রান করেন হৃদয়। দ্বিতীয় উইকেটে ইমরুলের সাথে ৮৭ বলে ১০৭ রানের জুটি গড়েন হৃদয়।
একই ওভারের শেষ বলে ইমরুলকেও তুলে নেন তাসকিন। ৬ বাউন্ডারি ও ২ ওভার বাউন্ডারিতে ৫৬ বলে ৬৬ রান করেন গত আসরে কোন ম্যাচে হাফ-সেঞ্চুরির গন্ডি পার করতে না পারা ইমরুল।
শেষ ওভারে আক্রমনে আসা শরিফুলের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে ছক্কা মারেন খুশদিল শাহ। এরপর ওভারের শেষ তিন বলে খুশদিল, রোস্টন চেজ ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনকে শিকার করে হ্যাট্টিক পূর্ণ করেন শরিফুল। বিপিএলের ইতিহাসে এটি সপ্তম হ্যাট্টিক।
শরিফুলের হ্যাট্টিকের পর ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৩ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা। ৫ বলে ২টি ছক্কায় ১৩ রান করেন খুশদিল। ৪ ওভার করে বল করে ঢাকার শরিফুল ২৭ রানে ৩ ও তাসকিন ৩০ রানে ২ উইকেট নেন।

author avatar
Mohona Online
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button