জনতা ব্যাংক পিএলসি সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার তামাই শাখার ব্যাংকের ক্যাশভোল্ট থেকে ৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার হদিস নেই। টাকা উধাও এর এ ঘটনায় এরই মধ্যে তদন্ত টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। টাকার অনুসন্ধানে কাজ করছেন তদন্ত টিম। জনতা ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার রাতে তামাই শাখার ব্যাংক ম্যানেজার সহ আরো দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তারা বলছেন, তদন্ত সবে শুরু হয়েছে, টাকার সঠিক হিসাব এই মুহুর্তে বলা সম্ভব হচ্ছেনা। তবে অনিয়ম কিছু হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের তামাই জনতা ব্যাংক পিএলসির ক্যাশ ভোল্টে ১ কোটি ৭৭ লক্ষ ৬১ হাজার ২৪০ টাকা বর্তমানে মজুদ আছে। অথচ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী ভোল্টে থাকার কথা ৭ কোটি ১১ হাজার ২৪০ টাকা।
হিসাব অনুসারে বাকি ৫ কোটি ২২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উধাওয়ের ঘটনা দীর্ঘদিন চাপা থাকলেও এক কান দু’কান করে তা পৌছে যায় ব্যাংকের উর্দ্ধতন কর্মকর্তার কাছে। আর এর পরেই বাধে বিপত্তি। জনতা ব্যাংকের পক্ষে রোববার রাতে অভিযোগ দিলে পুলিশ তামাই শাখার ব্যবস্থাপক আল আমিন সহকারী ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম, ব্যাংক অফিসার রাশেদুল ইসলাম আটক করে।
ব্যাংক থেকে টাকা উধাওয়ের ঘটনা এলাকায় জানাজানি হবার পর স্থানীয় ব্যবসায়ীরা শংকায় পড়েছেন তাদের জমানো টাকা নিয়ে। টাকা রাখার নিরাপদ স্থান ব্যাংক হলেও সেখান থেকে কিভাবে টাকা উধাও হয়. সেটিই তাদের চিন্তার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।
সোমবার সকালে তামাই শাখায় গিয়ে দেখা যায়, ব্যাংক শাখা ব্যবস্থাপক পরিবর্তন করা হয়েছে। নতুন করে এখানে দায়িত্ব নিয়েছেন কামরুল হাসান। তিনি জানান বেশ কয়েকদিন ধরেই বিষয়টি নিয়ে সিরাজগঞ্জ ও রাজশাহী অফিসের বিভিন্ন কর্তারা কাজ করছে। তদন্ত করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যবস্থা নিবেন।
বেলকুচি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, লিখিত অভিযোগ সহ তিন ব্যাংক কর্মকর্তাকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জেল জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তবে যেহেতু এটি ব্যাংকিং অর্থনৈতিক হিসাব তাই বিষয়টি দুদুকে অভিযোগটি পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তদন্ত টিমের প্রধান বাংলাদেশ ব্যাংকের বগুড়া অফিসের যুগ্ম পরিচালক এস এম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ঠিক কত টাকার ঝামেলা রয়েছে তা এখন বলা সম্ভব নয়। টাকা সরানো হয়েছে কি না বা হিসাবের কোথাও ভুল হয়েছে তা ক্ষতি দেখা হচ্ছে। বিষয়টি ঠিক কতদিন ধরে হয়ে আসছে সেটাও এখন দেখার বিষয়।
বিশাল অংকের টাকা ক্যাশভোল্ট থেকে একদিনেই সড়ানো হয়েছে নাকি বা দীর্ঘদিন ধরে এ অনিয়ম চলে আসছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছন ব্যাংক এবং তদন্ত কর্মকর্তারা।