দেশসেরা ওপেনার তামিম ইকবালের ৩৫ তম জন্মদিন আজ। দেশের ক্রিকেটে অনেক গৌরবগাথা অধ্যায়ই রচিত হয়েছে তার ব্যাটে। ১৯৮৯ সালের ২০ মার্চ এই দিনে চট্টগ্রামের বিখ্যাত খান পরিবারে জন্ম নেন তামিম ইকবাল।
ক্রিকেট অনুরাগী ইকবাল খানের কনিষ্ঠ পুত্র তামিম ২০০৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবার বাংলাদেশের জার্সিতে খেলেন। দীর্ঘ ১৭ বছরে বাংলাদেশকে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে অনেক আনন্দের উপলক্ষ এনে দিয়েছেন তিনি। নামের সঙ্গে যুক্ত করেছেন দেশের সেরা ওপেনারের তকমা।
ক্রিকেট তামিমের পরিবারেই ছিল। চাচা আকরাম খান দেশের হয়ে খেলেছেন ওয়ানডে এবং টেস্ট ক্রিকেট। তামিমের বড় ভাই নাফিস ইকবালও খেলেছেন জাতীয় দলে।
তবে ক্রিকেটে খ্যাতির দিক থেকে চিন্তা করলে পরিবারের সবাইকে ছাড়িয়ে গেছেন তামিম। দেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ২৪৩ ওয়ানডে খেলে ৮৩৫৭ রান করেছেন তামিম। বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসে এই ফরম্যাটের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক তিনি। টেস্টে ৫১৩৪ রান নিয়ে ফরম্যাটের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক এই ওপেনার। টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়ে ফেললেও রেকর্ডের ফোয়ারা ছুটিয়ে গেছেন আগেই। ক্রিকেটের ক্ষুদ্রতম ফরম্যাটে ১ হাজার ৬১৩ রান করা তামিম এই ফরম্যাটে দেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে ১ হাজার রান করেছেন।
তামিম ইকবাল প্রথম চমক দেখান ২০০৭ বিশ্বকাপে। সেবার প্রথম ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ৫৩ বলে ৫১ করেন তিনি যা পরিস্থিতির বিচারে দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা ইনিংস হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে।
২০০৯ মৌসুমের জুলাই-আগস্ট মাসে বাংলাদেশের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে তামিম ইকবাল তার প্রথম টেস্ট শতক করেন। ওয়ানডেতে প্রথম শতক আসে আয়ারল্যান্ড দলের বিপক্ষে।
২০১১ সালে তামিম উইজডেন ক্রিকেটার্স অ্যালমেনাক ম্যাগাজিন কর্তৃক বছরের সেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন হিসেবে নির্বাচিত হন। বাংলাদেশের প্রথম এবং একমাত্র ক্রিকেটার হিসেবে লর্ডসের অনার্স বোর্ডে নাম লেখানো ক্রিকেটারও তিনিই।
২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পর জাতীয় দলে আর খেলা হয়নি তামিমের। এর কয়েক মাস আগে ওয়ানডের নেতৃত্বও ছাড়েন তিনি। তবে বিপিএল দিয়ে আবারও মাঠে ফিরেন তিনি। নেতৃত্ব দিয়ে ফরচুন বরিশালকে জিতিয়েছেন ট্রফি। তবে তামিমের জাতীয় দলে ফেরার বিষয়টি এখনও ধোঁয়াশায় রয়ে গেছে।
লর্ডসে তিনজন বাংকাদেশি ক্রিকেটারের নাম আছে। তামিম ইকবাল, শাহাদাত হোসেন রাজিব আর মুস্তাফিজুর রহমান।