প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণের স্বার্থে নিজের ও বোন শেখ রেহানার সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করেছি। আমাদের কেউ নেই এবং আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি।’প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশের জনগণের স্বার্থে নিজের ও বোন শেখ রেহানার সব সম্পত্তি ট্রাস্টে দান করেছি। আমাদের কেউ নেই এবং আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি।’
গতকাল বুধবার (৩ এপ্রিল) শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল অ্যান্ড নার্সিং কলেজের ব্যবস্থাপনা টিম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সরকারি বাসভবন গণভবনে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘মানুষের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা সুবিধাগুলো নিশ্চিত করার জন্য আমরা সারা দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছি। এর ফলে শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমেছে।’ তার সরকার বিভিন্ন বাস্তবমুখী পদক্ষেপের মাধ্যমে দেশে দারিদ্র্য হারের পাশাপাশি শিশু ও মাতৃমৃত্যু হার কমাতে সক্ষম হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিল্পাঞ্চলে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল কেপিজে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, যাতে এলাকার শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ সহজে মেডিকেয়ার সুবিধা পেতে পারে।
হাসপাতালটি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, আমি এবং আমার বোন শেখ রেহানা জনগণের স্বার্থে আমাদের সব সম্পত্তি ট্রাস্টকে দান করে দিয়েছি। আমরা জনগণের কল্যাণে আমাদের সম্পত্তি দান করেছি। এক সময় বাংলাদেশের মানুষ দরিদ্র এবং স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত ছিল একথা স্মরণ করে তিনি বলেন, আমরা দারিদ্র্যের হার কমাতে সক্ষম হয়েছি।
২৫০ শয্যার কেপিজে হেলথকেয়ার হাসপাতালটি বেরহাদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেটি মালয়েশিয়ার একটি বিখ্যাত বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা সংস্থা। কেপিজে হেলথকেয়ার বেরহাদ-এর বর্তমানে মালয়েশিয়ায় ২৯টি হাসপাতালের একটি চেইন রয়েছে।
এটি বাংলাদেশে প্রথম ইন্টিগ্রেটেড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (আইএমএস) প্রত্যায়িত হাসপাতাল ও নার্সিং কলেজে পরিণত হয়েছে, যা রোগীদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা লাভের আস্থা সৃষ্টি করেছে।