ইসরায়েলে কর্মীদের নিরাপদে থাকার নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের
ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে ড্রোন ও মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইরান। সিরিয়ায় ইরানের কনস্যুলেটে হামলার প্রেক্ষিতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে তেহরানের প্রতিশোধের হুমকির মধ্যেই এই হামলার ঘটনা ঘটলো। এ অবস্থায় ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে কি না, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা। পাল্টা হামলার আশঙ্কায় ইরানজুড়েও উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত আগেই হুমকি দিয়ে বলেছেন, যদি ইসরায়েলের ভূখণ্ড কিংবা দূতাবাসে ইরানি হামলার কোনও ঘটনা ঘটে, তাহলে ইরানের ভূখণ্ডে সরাসরি হামলা চালাবে ইসরায়েলি বাহিনী।
চলমান বাস্তবতায় ইসরায়েলে থাকা মার্কিন কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে যুক্তরাষ্ট্র। জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস এই নির্দেশনা দিয়েছে। এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম জেরুজালেম পোস্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে ইরানের হামলার পর জেরুজালেমে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস দেশজুড়ে তার কর্মচারীদের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।
বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘নিরাপত্তা সংক্রান্ত ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় এবং আগাম নোটিশ ছাড়াই মার্কিন দূতাবাস মার্কিন সরকারি কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের ইসরায়েলের কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় এবং পশ্চিম তীরে ভ্রমণ করা আরও সীমিত বা নিষিদ্ধ করতে পারে।’
এর আগে বিভিন্ন মিশন ও কূটনৈতিক কারণে যুক্তরাষ্ট্রের যেসব কর্মকর্তা ও কর্মী ইসরায়েলে অবস্থান করছেন, তাদের জন্য ভ্রমণ বিষয়ক বিধিনিষেধ জারি করে বার্তা দেয় সেখানকার মার্কিন দূতাবাস।
দুদিন আগে দেওয়া সেই বার্তায় সরকারি-বেসরকারি মিশনে কর্মরত মার্কিন কর্মকর্তা ও কর্মীদের বৃহত্তর জেরুজালেম, তেল আবিব এবং বিয়েরশেভা এলাকার বাইরে ভ্রমণ না করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।