দীর্ঘ ৯ বছরের বিরতির পর সোমবার পশ্চিম এশিয়ার এ দেশটির মুসল্লিরা ওমরাহ পালনের জন্য তেহরান থেকে পবিত্র মক্কা নগরীর উদ্দেশে যাত্রা করেন। খবর রয়টার্স।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, তেহরানের প্রধান বিমানবন্দর থেকে যাত্রা করেছেন তারা। ফ্লাইটের আগে, বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের বিদায় অনুষ্ঠান পালন করা হয়। এসময় ইরানে নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আনজি উপস্থিত ছিলেন।
মূলত ২০১৬ সাল থেকে থেকে মধ্যপ্রাচ্যের এই দুই বড় দেশের মধ্যে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিল না। সে বছর সৌদি আরব এক শিয়া নেতার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার পর তেহরানের সৌদি দূতাবাসে হামলা হয়েছিল। আর তার পর দুই দেশের সম্পর্কে নাটকীয় অবনতি ঘটে।
ইরানের সংবাদামাধ্যমে আরও বলা হয়েছে, গত বছরের ডিসেম্বরে সৌদি আরব ইরানিদের ক্ষেত্রে ওমরাহ পালনের বিধি নিষেধ তুলে নেয়। কিন্তু কারিগরি ত্রুটির কারণে এতদিন তেহেরান থেকে ফ্লাইট চলাচলে বিলম্ব হয়েছে।
২০২৩ সালের মার্চে চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি ও ইরানের মধ্যে পুনরায় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। ২০১৬ সালে রিয়াদে শিয়া মুসলিম গুরুকে ফাঁসির দায়ে তেহেরানে সৌদি দূতাবাসে হামলা চালানোর পর দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের চিড় ধরে।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত বছর সম্পর্ক পুনরায় শুরু হওয়ার আগে ইরানিরা শুধুমাত্র হজ পালন করতে সৌদিতে যেতে পারতো। কারণ হজ পালন মুসলমানদের জন্য বাধ্যতামূলক একটি ইবাদত ও ধর্মীয় কর্তব্য।
এছাড়া হজ অবশ্যই বছরের একটি নির্দিষ্ট সময়ে সম্পাদন করতে হয় এবং সেটিও আবার কঠোর বার্ষিক কোটা সাপেক্ষে। অন্যদিকে ওমরাহ বছরের যে কোনো সময় করা যেতে পারে এবং মুসলমানদের জন্য এই ইবাদত বাধ্যতামূলক বলে মনে করা হয় না।
তেহরানের প্রধান বিমানবন্দরে ৮৫ জন ওমরাহযাত্রীর বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইরানে নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত আবদুল্লাহ বিন সৌদ আল-আনজি।