গরমের তীব্রতা থেকে রেহাই পেতে এয়ার কন্ডিশনার এখন অপরিহার্য হয়েই দাঁড়িয়েছে। হঠাৎ চাহিদা বাড়ায় সরবরাহ নিশ্চিতে বেগ পেতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। কোথাও অগ্রিম পেমেন্ট করে মিলছে এসি। যাদের সামর্থ্য কম তারা কিনছেন এয়ার কুলার বা ভালো মানের রিচার্জেবল ফ্যান।
কয়েকদিন আগেও ক্রেতার অপেক্ষায় থাকত এসির দোকানগুলো। আর এখন তারা ক্রেতা সামাল দিতেই হিমশিম খাচ্ছেন। ঈদে নতুন পোশাকের চাইতেও এবার বেশি গুরুত্ব পাচ্ছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র। তবে আগের তুলনায় অনেক বেশি দামে ক্রয় করতে হচ্ছে।
একজন ক্রেতা জানান, দেড় টন এসির দাম ৪৬-৪৭ হাজার টাকা। যা ১৫ দিন আগেও ছিল ৩৯ হাজার টাকা। দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে চলছে এসির সংকট আর এ কারণেই এসির দাম বাড়ছে।
যাদের এসি কেনার সামর্থ্য নেই, তারা ঝুকছেন এয়ার কুলার এবং রিচার্জেবল ফ্যানের দিকে। সেখানেও বেচা-কেনা রমরমা। এখানেও দাম চড়া। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাহিদা বাড়ায় ফ্যানের বাজার এখন চড়া তিন দিনের ব্যবধানে আবারও রিচার্জেবল ফ্যানের দাম বেড়েছে অন্তত ৫০০ টাকা।
এদিকে ফ্যান-এসির ব্যবহার বাড়ায় চাপ পড়ছে বিদ্যুতের ওপরেও। উৎপাদন বাড়িয়েও দেশের বিভিন্ন স্থানে দিতে হচ্ছে লোডশেডিং।