ইরান-ইসরায়েলের মধ্যে তুমুল উত্তেজনার মধ্যেই নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। যুক্তরাষ্ট্র, ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠানোর খবরে নতুন করে এই উত্তেজনার জন্ম দিয়েছে। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, অতি গোপনে ইউক্রেনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। শুধু তাই নয়, দখলদার রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে দূরপাল্লার এই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহারও শুরু করছে ইউক্রেন।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানিয়েছে, অধিকৃত ক্রিমিয়ায় রাশিয়ার একটি বিমানঘাঁটিতে আঘাত হানতে গত সপ্তাহে প্রথমবারের মতো দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে অধিকৃত বন্দরনগরী বারডিয়ানস্কে রাশিয়ার সেনাদের ওপর হামলায় নতুন এ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়।
জানা গেছে, কিয়েভের অনুরোধে ইউক্রেনের অপারেশনাল নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য শুরুতে কোনও ঘোষণা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ মাসে অস্ত্রের চালান দেশটিতে পৌঁছায়। তবে ঠিক কতগুলো অস্ত্র পাঠানো হয়েছে তা স্পষ্ট নয়, এ বিষয়ে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভান জানান, ওয়াশিংটন এই ধরনের আরও অস্ত্র পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি জানিয়েছে, গত মার্চে ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ সংক্রান্ত ৩০০ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছিলেন। সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য ৬১ বিলিয়ন ডলারের আরও একটি সহায়তা প্যাকেজ প্রস্তাবের অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র ইউক্রেনে মধ্যমপাল্লার ‘আর্মি ট্যাকটিকেল মিসাইল সিস্টেম’ পাঠিয়েছিল। ওই সময় তারা আরও শক্তিশালী অস্ত্রসম্ভার পাঠাতে অনিচ্ছুক বলে জানিয়েছিল ওয়াশিংটন। তা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট বাইডেন, ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বের লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে সক্ষম এমন দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ইউক্রেনে পাঠাতে সবুজ সংকেত দিয়েছিলেন।
২০২২ এর ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আগ্রাসন শুরু করে রাশিয়া। টানা দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলছে এই আগ্রাসন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে ৫০ হাজারের বেশি রুশ সেনা।