নিষেধাজ্ঞা প্রদানের ৬ মাস পর পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর জারি রাখার পর অবশেষে তা তুলে নিল ভারত সরকার। শনিবার (৪ মে) দেশটির বৈদেশিক বাণিজ্য নিয়ন্ত্রণবিষয়ক কেন্দ্রীয় সংস্থা ডিরেক্টোরেট জেনারেল অব ফরেন ট্রেড (ডিজিএফটি) এক বিজ্ঞপ্তি এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ভারতের রাজনৈতিক অর্থনীতিতেও পেঁয়াজ বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ফসল, বিশেষ করে ভোটের বেলায়।তাই বর্তমানে ভারতে চমান লোকসভা নির্বাচনের কারণে কেন্দ্রীয় সরকারে আসীন দল বিজেপি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর আগে ভারত সরকারের পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েন কৃষকরা।
ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়—রপ্তানি করা প্রতি টন পেঁয়াজের ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য (মিনিমাম এক্সপোর্ট প্রাইস- এমইপি) ধার্য করা হয়েছে ৫৫০ ডলার, যা নির্ধারণ করে ডিজিএফটি।
পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পর থেকেই ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য মহারাষ্ট্রের কৃষকদের কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি ক্ষোভ বাড়ে। অন্যদিকে এবারের নির্বাচনে রাজ্যটির প্রতিটি সংসদীয় আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বিজেপি প্রার্থীরা, যা সামাল দিতেই এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বলে ধারণা অনেক রাজনীতি বিশ্লেষকের।
ভারতের মহারাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি পেঁয়াজ উৎপাদন হয়ে থাকে। দেশটির মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের বেশিরভাগ আসে এই রাজ্য থেকে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর বাংলাদেশ, ভুটান, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মরিশাসসহ আফ্রিকার কয়েকটি দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করে ভারত।
গত বছর ডিসেম্বরে পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথম পর্যায়ে নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত হলেও পরে তা আরও বাড়ানো হয়। তার আগে ২০২৩ সালের আগস্টে পেঁয়াজ রপ্তানির ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক ধার্য করেছিল নয়াদিল্লি।