হামলার তীব্রতা বেড়ে যাওয়ায় এবং হামাস যোদ্ধাদের সঙ্গে ইসরায়েলি সেনাসদস্যদেও প্রচন্ড সম্মুখযুদ্ধের কারণে দলে দলে লোকজন শহরটি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছেন।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণ সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ’র বরাত দিয়ে রোববার (১২ মে) রাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
গাজা উপত্যকার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকাগুলোতে আবারও সৈন্য পাঠাতে শুরু করেছে ইসরায়েল। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ওই অঞ্চলের জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের আশেপাশে ট্যাঙ্কসহ ইসরায়েলি সৈন্যদের দেখা গেছে। এছাড়া আশেপাশের সাবরা ও জেইতুন শিবিরেও দেখা গেছে সৈন্যদের। রাতভর বিমান হামলার পর আজ সোমবার (১৩ মে) সকাল থেকেই স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।
মিসর জানিয়েছে তারা আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় বাদী হিসেবে যোগ দেওয়ার জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। গাজা উপত্যকায় গণহত্যার কনভেনশন ভাঙার দায়ে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা। অন্যদিকে, মিসরের এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে ইসরায়েল। দেশটি বলেছে, মিসরের সিদ্ধান্ত দুই দেশের সম্পর্কের জন্য একটি বড় আঘাত হিসেবেই কাজ করবে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সতর্কতা সত্ত্বেও রাফা শহরে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় বলছে, লাখ লাখ ফিলিস্তিনির আশ্রয়স্থল হয়ে ওঠা ওই শহরে আক্রমণ হবে ‘বিপর্যয়কর’। এর আগে, গত ১১ মে রাফাহ ছাড়তে ফিলিস্তিনিদের নির্দেশ দেয় ইসরায়েল। ব্যাপক আকারে সামরিক অভিযানের লক্ষ্যেই এই নির্দেশ দিয়েছে তারা।