মেদ ভুঁড়ির অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাস। বিশেষ করে যাদের দিনভরই থাকতে হয় অফিসে, তাদের তো কথাই নেই। ব্যস্ততার কারণে দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকা কিংবা ক্ষুধা দূর করার জন্য হুট করে অস্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খেয়ে ফেলা, তাদের নিত্যদিনের রুটিন। অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিনে ক্লান্তির কারণে শরীরচর্চাটাও করা হয় না। ফলে অনিয়মই যেন হয়ে ওঠে কর্মজীবীদের নিয়ম!
তবে সুস্থ থাকতে কর্মজীবনেও নিয়ন্ত্রিত খাদ্যভাস মেনে চলা সম্ভব। এ জন্য দরকার কার্যকরী ডায়েট প্ল্যান। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক অফিসে ডায়েট করার নিনজা টেকনিক-
অফিসে বাসার খাবার খান: বাইরের খাবার খাওয়া বাদ দিতে হবে এবং ঘরে বানানো খাবার খাওয়ার অভ্যাস করতে হবে। এতে যেমন ভালো এবং পুষ্টিকর খাবার খাওয়া হবে তেমন খরচ ও কম হবে। ফলে ভুঁড়ি বাড়ার ভয় থাকবে না, শরীর ও ভালো থাকবে।
সঙ্গে বাদাম রাখুন: কাজের ফাঁকে খেতে পারেন এক মুঠ বাদাম। এটি বাড়তি ক্ষুধা দূর করতে সহায়তা করে এবং হেলথ এর জন্য ভালো কাজ করে। কেননা এতে আছে প্রচুর পরিমাণের প্রোটিন। যা কিনা আপনাকে সব সময় ফিট রাখতে সাহায্য করবে।
অফিসের শেষে হাঁটুন: অফিসের ফাঁকে ফাঁকে একটু হাঁটাহাঁটি করে নিতে পারেন। এতে করে ক্লান্তি ভাব যেমন থাকবে না তেমন শরীর ও ভালো থাকবে। অফিসে আসার ক্ষেত্রে চাইলে পায়ে হেঁটে ও অফিসে আসতে পারেন যদি কাছের পথ হয়। এতে করে বাড়তি ক্যালরি ঝরে যাবে। সম্ভব না হলে অফিসের পর সময় নিয়ে ঘণ্টা খানিক হাঁটাহাঁটি করতে পারেন।
নিয়মিত ফল খান: স্বাস্থ্য যদি ভালো রাখতে চান তাহলে খেতে হবে বিভিন্ন রকমের ফল। তাই প্রতিদিন অফিসে নিয়ে রাখুন ফল।কাজের ফাঁকে ফাঁকে খেয়ে নিতে পারবেন। তাই সুস্বাস্থ্য পেতে চাইলে জাঙ্ক ফুড ও কোল্ড ড্রিংক বাদ দিতে হবে খাবারের তালিকা থেকে।
নিয়মিত পানি পান করুন: সুস্থ থাকার একমাত্র পথ হলো নিয়মিত পানি পান করা। তাই চেষ্টা করুন প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করার। তাই নিয়মিত অফিসের ডেস্কেই রাখুন পানির বোতল। এতে করে পানি পান করা হবে এবং মেদ হওয়ার প্রবণতা ও কমে যাবে।