স্বাস্থ্য

কিশমিশের পানি হতে পারে সুস্থ থাকার সহজ সমাধান

মোহনা অনলাইন

সুস্থ থাকতে আমরা কত কিছু করি। আবার খুব সহজেই কিছু একটু সচেতন হলে সুস্থ থাকা যায়। ব্যস্ত কর্মময় জীবনে ফিট থাকার খুব দরকার। আর ফিট থাকার জার্নিতে সঙ্গী হতে পারে কিশমিশ। প্রাচীনকাল থেকে শক্তি বা ক্যালরির চমৎকার উৎস হিসেবে কিশমিশ ব্যবহার করা হচ্ছে। এমনকি কিশমিশ ভেজানো পানিও শরীরের জন্য অনেক উপকারী। 

পটাসিয়াম: সুস্থ রক্তচাপ এবং তরল ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পটাসিয়াম অপরিহার্য। সহজে পটাসিয়ামের উৎস হতে পারে কিশমিশের পানি।  

ফাইবার: কিশমিশে প্রচুর ফাইবার আছে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করতে পারেন কিশমিশের পানির মাধ্যমে। ডাক্তার ভাট বলেন, কিশমিশের পানি  পাচনতন্ত্রকে পরিষ্কার করতে এবং প্রাকৃতিক, উপকারী অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে উদ্দীপিত করতে সাহায্য করতে পারে। এটা সামগ্রিক অন্ত্রের স্বাস্থ্য ঠিক রাখে।  

আয়রন: কিশমিশের পানি আয়রনের একটি সহায়ক উৎস হতে পারে। বিশেষ করে যাদের আয়রনের ঘাটতি রয়েছে তাদের জন্য এটা বিশেষ উপকারী। সারা শরীরে অক্সিজেন বহনের জন্য আয়রন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস : কিশমিশে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা ফ্রি র‌্যাডিক্যালের কারণে কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করতে সাহায্য করে। ভিটামিন সি এর মতো অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনের উপস্থিতি একটি শক্তিশালী ইমিউন সিস্টেমে অবদান রাখে।  

লিভার সুস্থ রাখে : লিভার আমাদের শরীরের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ৷ যা প্রাকৃতিকভাবে আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফাই করে । লিভার সুস্থ রাখতে কিশমিশ পানি পান করতে পারেন । এ জন্য এক মুঠো কিশমিশ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন । পরদিন সকালে খালি পেটে এই পানি পান করুন । এটি শরীর থেকে টক্সিন দূর করতে পারে । 

ওজন কমাতে সাহায্য করে : কিশমিশের পানিতে ফ্রুক্টোজ এবং গ্লুকোজ পাওয়া যায় । ওজন কমানোর ডায়েটে কিশমিশ জল অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন ।

উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে : কিশমিশে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকায় উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য এটি উপকারী বলে মনে করা হয় । এতে পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার পাওয়া যায়। যা রক্তনালিকে উন্নত করতে পারে ৷ যা উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমাতে পারে। কিশমিশ পানি পান করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। 

দাঁত সুস্থ রাখুন : দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করতে পারে কিশমিশের পানি। কিশমিশের পানিতে রয়েছে ফাইটোকেমিক্যাল এবং ওলিয়ানোলিক অ্যাসিড ৷ যা আপনাকে জীবাণু থেকে রক্ষা করে যা আপনার দাঁতের ক্ষতি করতে পারে ।

রক্তে শর্করার মাত্রা বজায় রাখে : কিশমিশের একটি কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্স, তাই তারা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না। কিশমিশ ইনসুলিনের প্রতিক্রিয়া বাড়াতে পারে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। ডায়াবেটিস রোগীরা প্রতিদিন খালি পেটে কিশমিশের পানি পান করতে পারেন ।

author avatar
Online Editor SEO
Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button