Top Newsজাতীয়

রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই : প্রধানমন্ত্রী

মোহনা অনলাইন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা হচ্ছে ইনফ্লুলেশন। এটা অনেক দেশের সমস্যা। এটা কমাতে পারলে ভালো হতো। রিজার্ভ আমাদের মতো অনেক দেশেরই কমে যাচ্ছে। রিজার্ভ নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সন্ধ্যায় গণভবনে ১৪ দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

১৪ দলের নেতাদের প্রধানমন্ত্রী বলেন, আপনারা এসেছেন, ভালো হয়েছে। আমি খুশি হয়েছি। সবার কথা শুনব… কীভাবে কী করা যায়। স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তিকে আরও সুসংগঠিত হয়ে মানুষের কাছে যেতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি ছাড়া দেশের মানুষের কল্যাণ হবে না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ বলতে বলতে মানুষকে মানুষকে এত সচেতন করে ফেলেছি, সবাই এখন রিজার্ভ নিয়ে কথা বলে। সবাই জিডিপি নিয়ে কথা বলে। এটা লক্ষণ ভালো, কারণ আমাদের মানুষ (এসব বিষয়ে) নজর দেওয়া শিখছে। কিন্তু জিনিসের দাম কমানো, এখানেও অনেক খেলা হয়। আজকে দেখলাম আলু যেখানে রাখে, সেখানে ডিম নিয়ে রাখা। আলুর জন্য যে হিমাগার সেখানে তো ডিম রাখার কথা নয়। কিন্তু ডিম নিয়ে আলুর স্টোরে রাখা হচ্ছে। এমন অনেক ঘটনা ঘটছে। জমি অনাবাদি না রেখে সবাইকে চাষাবাদ করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি টুঙ্গিপাড়ায় আমার নিজের জমি আবাদ করতে শুরু করেছি। আমাদের বেশ কিছু জমি অনাবাদি ছিল, সেই সঙ্গে আশপাশে যাদের জমি অনাবাদি ছিল পুরো জায়গা পরিষ্কার করে আমরা চাষ শুরু করেছি।

রোহিঙ্গাদের নিয়ে উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করে সরকারপ্রধান বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রতিনিয়ত বাচ্চা হচ্ছে। তাদের জনসংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। এদিকে, মিয়ানমারেও পরিস্থিতি ভালো নয়। তাদের তো আর ঠেলে দিতে পারি না। আলাপ-আলোচনা করে যাচ্ছি। যুদ্ধ করতে যাইনি, ঝগড়াও করতে যাইনি। কখন যে তাদের ফেরাতে পারব, জানি না। আমরা তো রিফিউজি ছিলাম, তাদের কষ্ট বুঝি। তাদের ভাসানচরে নিচ্ছি। কিছু গেছে, আরও যাবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গাজায় যে ঘটনাগুলো ঘটছে, মানুষ হত্যা, নারী হত্যা, শিশু হত্যা থেকে শুরু করে রীতিমতো গণহত্যা। আমরা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এর প্রতিবাদ করি, আমি যেখানেই যাই প্রতিবাদ করি এবং যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানাই। এ বিষয়ে আমাদের নীতি সব সময় ঠিক থাকবে। কারণ আমরা চাই না এ ধরনের ঘটনাগুলো ঘটুক। ইরানের প্রেসিডেন্টের মৃত্যুতে আমরা শোক দিবস পালনের ঘোষণা দিয়েছি। আজকেই সেটা পালন করলাম। এ সময় মিয়ানমার থেকে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার প্রসঙ্গও উলে­খ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, মিয়ানমারে এখন খুবই খারাপ অবস্থা। এখন এরা কবে যে ফেরত যাবে তারও কোনো ঠিক-ঠিকানা নেই।

বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, স্কুলে ছেলেদের সংখ্যা কমছে। মেয়েদের সংখ্যা বেশি। এবার মেয়েরা বেশি পাস করছে, ছেলেরা কম। এর কারণ খুঁজে বের করতে বলেছি। উচ্চশিক্ষার জন্য প্রধানমন্ত্রীর ফান্ড থেকে আমরা সুবিধা দিচ্ছি। ২২ জেলা ও ৩৩৪ উপজেলা এখন ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত। বাকিগুলোও হবে। প্রত্যেক নাগরিক দুই শতক জমিসহ ঘর পাবে। কোনো মানুষ ভূমিহীন-গৃহহীন থাকবে না, অভুক্ত থাকবে না। পাশাপাশি নিরক্ষরও থাকবে না। সবাইকে পড়াশোনার আওতায় আনব। বেকারও থাকবে না। কর্মসংস্থানের নানা সুযোগ সৃষ্টি করছি।

বাক-স্বাধীনতার বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার পরও, টেলিভিশন করে দেওয়ার পরও বলছে, কথা বলতে পারি না। ফেসবুকেও সমালোচনা, মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। সবচেয়ে বড় সমস্যা আর্টিফিসিয়াল ইন্টিলিজেন্স। আমরাসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এ ব্যাপারে সচেতন যে, কীভাবে এ সমস্যার মোকাবিলা করা যায়।

এ সময় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও সমন্বয়ক আমির হোসেন আমু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, জাতীয় পার্টি- জেপি চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মুঞ্জু, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়াসহ জোটের শরিক দলের শীর্ষ নেতাদের প্রায় সবাই উপস্থিত ছিলেন।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button