পানি বাড়ছে, তলিয়ে গেছে পুরো সুন্দরবন
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সুন্দরবনের নদীতে ভাটার সময়ও কামেনি জোয়ারের পানি, আবারো জোয়ার এসেছে। তাতে ফুলে ফেপে উঠেছে নদী। বাগেরহাটের নিম্নাঞ্চল তলিয়ে গেছে পানির নিচে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার মানুষ।
এদিকে, দমকা হাওয়ার সাথে বাতাসের গতিবেগ বাড়ছে। যতই সময় গড়াচ্ছে ততো বেশি প্রভাব দেখাচ্ছে রিমাল। রিমালের কারণে সুন্দরবনের নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ১৬ টি পয়েন্ট প্লাবিত হয়েছে। স্বাভাবিক জোয়ারের পানির পানির তুলনায় নদীতে ৩-৪ ফুট পানি বেড়েছে। নদী ও সমুদ্রে বাড়ছে ঢেউয়ের তীব্রতা।
করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজাদ কবীর জানান, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের রাস্তা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে। সুন্দরবনের নিচু অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুবলার চরের বেশ কিছু অংশ প্লাবিত হয়েছে।
সুন্দরবন পূর্ব বনবিভাগের বন কর্মকর্তা রানা দেব জানিয়েছেন, সুন্দরবন এখন দমকা বাতাস বইছে। বনবিভাগের যেসব ক্যাম্প রয়েছে বনরক্ষীদের নিরাপদ স্থানে সরে আসতে বলা হয়েছে। নৌযান এবং অন্যান্য মালামালও নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনতে বলা হয়েছে।
মোংলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নিশাত তামান্না জানান, রোববার বিকেল ৪টা পর্যন্ত জয়মনি, চিলা, সুন্দরবন ইউনিয়ন ও চাঁদপাই ইউনিয়নের বেশ কিছু সাইক্লোন সেল্টারে এবং পৌর শহরের কয়েকটি সাইক্লোন সেল্টারসহ সব মিলিয়ে প্রায় ৭ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। মোংলা উপজেলায় মোট ১০৩টি সাইক্লোন সেল্টার প্রস্তুত করা হয়েছে।