অনেকটা শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হয়েছে ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের চতুর্থ ও শেষ ধাপের ভোটগ্রহণ। বিকাল ৪টায় ভোট শেষে শুরু হয়েছে গণনা। আজ বুধবার (৫ জুন) সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়, যা বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে।
এর মধ্যে প্রথম চার ঘণ্টায় ১৭ দশমিক ৩১ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে তথ্য পাওয়া গেছে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব শফিউল আজিম।
ইসি সচিব বলেন, এ পর্যন্ত কোথাও বড় ধরনের কোনো অনিয়ম, গোলযোগের তথ্য পায়নি ইসির কেন্দ্রীয় মনিটরিং সেল। তবে ভোটের সময় অনিয়মের চেষ্টা করায় ৪ জনকে আটক করা হয়েছে। এছাড়া তিনজনকে জরিমানা করা হয়েছে।
ইসির তথ্যমতে, চতুর্থ ধাপের ভোটের মধ্য দিয়েই ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আনুষ্ঠানিকভাবে শেষ হচ্ছে। তবে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে স্থগিত হওয়া ২০টি উপজেলায় আগামী ৯ জুন ভোটগ্রহণ করা হবে। ফলে ওইদিনই উপজেলা নির্বাচন চূড়ান্তভাবে সমাপ্ত হবে।
চতুর্থ ধাপে ৬০ উপজেলায় একজন চেয়ারম্যান, তিনজন ভাইস চেয়ারম্যান ও একজন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইতোমধ্যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। এ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৫১ জন, ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২৬৫ জন ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ২০৫ জনসহ মোট ৭২১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ৫৮টি পৌরসভা ও ৮৭৪টি ইউনিয়নের দুই কোটি ১৭ লাখ ৩৪ হাজার ২৫৫ জন ভোটার রয়েছেন।
নির্বাচন ঘিরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৬৭ হাজার ৭০৭ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী। পাশাপাশি নির্বাচনি এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ১৬৬ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করছে।
তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে পর্যন্ত আচরণবিধি এবং আইনশৃঙ্গলা রক্ষায় প্রতি উপজেলার জন্য একজন করে ম্যাজিস্ট্রেট এবং ভোটগ্রহণের তিন দিন আগে থেকে ভোটগ্রহণের পরের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রতি তিনটি ইউনিয়নে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়েছে।