ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বুরেজ শরণার্থী শিবিরের পূর্বাঞ্চল এবং মধ্য গাজার দেইর আল-বালাহ শহরের উপর ‘অপারেশনাল নিয়ন্ত্রণ’ নিয়েছে। এই সামরিক অভিযানে বেশ কয়েকজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর বিবিসির।
বুধবার সকালে সামরিক বাহিনী বলেছে, বিমান হামলারসহকারে সৈন্যরা অভিযান শুরু করেছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানায়, বুধবার সকালে সৈন্যরা আকাশপথে বিমান হামলার সমর্থন নিয়ে মাটির ওপরে ও নিচে থাকা ‘সন্ত্রাসী ও তাদের অবকাঠামো’ লক্ষ্য করে ব্যাপক হামলা চালিয়েছে।
স্থানীয় অধিবাসীরা জানান, অভিযানে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ করা হয়। দাতব্য সংস্থা মেডিসিন স্যানস ফ্রন্টিয়ার জানায়, মঙ্গলবার থেকে স্থানীয় হাসপাতালে কমপক্ষে ৭০টি মৃতদেহ আনা হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মার্কিন, মিশরীয় এবং কাতারি মধ্যস্থতাকারীরা দোহা এবং কায়রোতে কীভাবে একটি নতুন যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করার সময় এ হামলা চালানো হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মঙ্গলবার বলেছে, তারা গত সপ্তাহে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দ্বারা মূল আউটলাইন করা এবং ইসরায়েলি প্রস্তাব হিসেবে বর্ণিত প্রস্তাবে হামাসের প্রতিক্রিয়ার জন্য অপেক্ষা করছে।
কাতার জানিয়েছে, তারা হামাস প্রতিনিধিদের কাছে একটি পরিকল্পনা তুলে ধরেছে এবং এ বিষয়ে ইসরায়েলি সরকারের পরিষ্কার অবস্থান জানতে অপেক্ষা করছে।
হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়াহ বুধবার জানান, যুদ্ধ অবসান ও গাজা থেকে পুরোপুরি ইসরায়েলি সৈন্য প্রত্যাহারের বিষয়ে দেওয়া প্রস্তাব নিয়ে তারা গভীর ও ইতিবাচকভাবে আলোচনা করবে।
ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু অবশ্য জোর দিয়ে বলেছেন, হামাসকে পরাজিত ও জিম্মিদের মুক্তির আগ পর্যন্ত তিনি স্থায়ী কোনো চুক্তির বিষয়ে সম্মতি প্রদান করবেন না।
গত বছর ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামাসের আন্তঃসীমান্ত আক্রমণের জবাবে হামাসকে ধ্বংস করার জন্য ইসরায়েল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। হামাসের নজিরবিহীন হামলায় প্রায় ১২শ জন নিহত হয়। জিম্মি করা হয় ২৫১ জনকে। হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতে, তখন থেকে গাজায় অন্তত ৩৬ হাজার ৫৮০ জন নিহত হয়েছে। সূত্র বিবিসি।