পাহাড়ি ঢল ও কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে কুড়িগ্রামের তিস্তা ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কুড়িগ্রামে তিস্তা, দুধকুমার, ব্রহ্মপুত্র ও ধরলা নদীসহ ১৬ নদীর পানি বেড়েই চলছে। ধরলা নদীর পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী, আজ বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সকালে ধরলা নদীর পানি তালুক শিমুলবাড়ি পয়েন্টে বিপৎসীমার ২৩ সেন্টিমিটার ও তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৬ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। নদী তীরবর্তী ২০টি চর, দ্বীপচর ও গ্রামের নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ভোর থেকে জেলার সর্বত্র বজ্রসহ ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বন্যা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা করছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার সারডোব এলাকায় ধরলার ভাঙন তীব্র আকার নিয়েছে। এলজিইডির একটি ক্ষতিগ্রস্থ সড়ক ভেঙে পানি ঢুকছে ৪টি গ্রামে। গত তিন দিনে এই এলাকায় ১০টি বাড়ি নদী ভাঙনে বিলীন হয়েছে। ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে সদ্য সংস্কার করা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ।
রাজারহাট উপজেলার বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কালিরহাট এলাকায় তিস্তার ভাঙনের ঝুঁকিতে পড়েছে কালিরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কিছু দোকান ও বাড়িঘর। সদর উপজেলার প্রথম আলোরচরসহ রৌমারী উপজেলার কয়েকটি চরে নদী ভাঙনে গত দুই দিনে ৪০টি পরিবার গৃহহীন হয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, আরও ২-৩ দিন নদ নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে স্বল্প মেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অন্যদিকে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা যেসব এলাকায় রয়েছে সেখানে ভাঙন রোধে আমাদের কাজ চলছে।