চরম এক ভোগান্তির নাম হচ্ছে মোবাইল অপারেটরদের কল ড্রপ। আগামী ৬ মাসের মধ্যে গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমিয়ে আনতে কঠোর নির্দেশ দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক। কল ড্রপের ফলে গ্রাহকরা যেমন হয়রানির শিকার হচ্ছেন, তেমনি আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
রোববার (৩০ জুন) বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) আয়োজিত মোবাইল অপারেটরদের সেবার মান সংক্রান্ত বৈঠকে তিনি এমন নির্দেশনা দেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়ে আমরা জুলাইয়ের ১ তারিখ থেকেই অ্যাকশনে যাব। কল ড্রপের বিষয়ে কোনো মোবাইল অপারেটর ছাড় পাবে না।”
পলক বলেন, গ্রাহক পর্যায়ে কল ড্রপের হার কমিয়ে আনার জন্যই আজকে আমরা বৈঠকে বসেছি। সরকার মোবাইল অপারেটরদের যেসব সুবিধা দিয়েছে তার বিপরীতে গ্রাহকরা প্রতিশ্রুত সেবা পাচ্ছেন কি না সেটিই বড় বিষয়। সম্প্রতি বিটিআরসি কল ড্রপ নিয়ে যে পরীক্ষাগুলো করেছে সে রিপোর্ট অনুসারে কোয়ালিটি অব সার্ভিস খুব সন্তোষজনক নয়। মোবাইল ফোন এখন জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে। কিন্তু আমরা দেখছি যে, আমাদের গ্রাহকেরা অনেক ক্ষেত্রেই তাদের সেবা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। আগামী ছয় মাসের মধ্যে কলড্রপ নিয়ে অপারেটরগুলো থেকে যে তথ্য দিক না কেন, যতক্ষণ পর্যন্ত না গ্রাহক এবং সাংবাদিকদের কাছ থেকে একটা উল্লেখযোগ্য চিত্র না পাব বা রিক্যাকশন না পাব ততক্ষণ পর্যন্ত শুধু কাগজে-কলমে বা ডিজিটাল উপস্থাপনায় আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হব না।
চট্টগ্রাম বন্দরের ব্যবস্থাপনায় ফাইভজি ও আইওটি সার্ভিস নিশ্চিতের ব্যাপারে পলক বলেন, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা বিষয়টি নিয়ে আগ্রহী। আমরা আশা করি সেখানেও দ্রুত আমরা ফাইভজি ব্যবহার করতে পারব।অনুষ্ঠানে বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. মহিউদ্দিন আহমেদসহ গ্রামীণফোন, বাংলালিংক, রবি এবং টেলিটক অপারেটরদের শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।