ফ্রান্সে আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফার ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। এতে জয় পেয়েছেন কট্টর ডানপন্থিরা। হতাশাজনক ফল পেয়েছে বর্তমান প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট।
দেশটির বুথফেরত জরিপে বলা হয়েছে, এ নির্বাচনে প্রায় ৩৪ শতাংশ ভোট পেয়ে শীর্ষ স্থান দখল করতে যাচ্ছে আরএন। অন্যদিকে ২৯ শতাংশ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় হতে পারে বামপন্থী দলগুলোর জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট। প্রথম ধাপের নির্বাচনে ম্যাক্রোর এনসেম্বল জোট ২০ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ২৩ শতাংশ ভোট পেয়ে তৃতীয় হতে যাচ্ছে।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেরিন লে পেনের দলই ফ্রান্সের রাজনীতিতে প্রভাব রাখতে যাচ্ছে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পথে তারা এগিয়ে। ইতোমধ্যে আরএনের সমর্থকরা উল্লাস শুরু করেছেন।
নির্বাচনি সংস্থাগুলোর অভিক্ষেপ অনুসারে আরএন পার্টি দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের পর দেশটির ৫৭৭ আসনের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে। তবে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে প্রয়োজনীয় ২৮৯ টি আসন তারা পাবে কিনা সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়।
নির্বাচনি সংস্থা ইপসোসের আভাস আরএন পার্টি ২৩০ থেকে ২৮০টি আসন পেতে পারে। আরেক সংস্থা ইফোপের আভাস দলটি পাবে ২৪০ থেকে ২৭০টি আসন। কেবলমাত্র ইলাবের আভাস অনুসারে দলটি ২৬০ থেকে ৩১০ টি আসনে বিজয়ী হয়ে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে যাচ্ছে।
মূলত গত জুন মাসের ৬-৯ তারিখের ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট নির্বাচনে আরএন-এর হাতে ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থি জোটের ভরাডুবি হলে, ম্যাক্রোঁ বেশ আকস্মিক ভাবেই জাতীয় নির্বাচনের ঘোষণা দেন। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নিজের কিছু ঘনিষ্ঠ মিত্রদেরও হতবাক করে দেন ম্যাক্রোঁ।
কিন্তু তার এই সিদ্ধান্ত – যেটা অনেকে বাজী ধরার সাথে তুলনা করেছেন – এখন উল্টো ফল দিতে যাচ্ছে। ম্যাক্রোঁর জোট এখন পার্লামেন্টে আগের চেয়ে ছোট আকার ধারণ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এর ফলে, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ম্যাক্রোঁর ক্ষমতা তার মেয়াদের বাকি তিন বছরে অনেকটা খর্ব হয়ে যাবে।