অবিরাম বৃষ্টি আর উজানের ঢলে আবারও সিলেট-সুনামগঞ্জসহ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি বেশ ক’টি পয়েন্টে বিপদৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এদিকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে শেরপুর,নেত্রকোনা,রংপুর,কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট,মৌলভীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে।
সুনামগঞ্জে গতকাল মঙ্গলবার রাত থেকে বৃষ্টি না হওয়ায় বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ইতোমধ্যেই পানিতে তলিয়ে গেছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।
এদিকে তৃতীয় দফা বন্যায় সিলেটের সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর পানি ৬টি পয়েন্টে বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় ২৫মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
তাছাড়া রংপুরের গঙ্গাচড়ার তিস্তা নদীতে পানি বৃদ্ধির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকশ’ পরিবার।
অন্যদিকে নেত্রকোণায় ঢলের পানিতে জেলার প্রধান নদী উব্ধাখালির পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এতে করে কলমাকান্দা উপজেলার ৮ টি ইউনিয়েনের নিম্নাঞ্চলের লোকালয়ে পানি ঢুকছে।
এছাড়া টানা বর্ষণে শেরপুরের ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। কয়েক স্থানে ভেঙে গেছে নদীর বাঁধ।এতে অন্তত ৩০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দী হয়ে পড়েছে শ’ শ’ পরিবার।
এ ছাড়া কুড়িগ্রামে ব্রহ্মপুত্র ও ধরলার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়ে প্লাবিত হচ্ছে নদ-নদীর অববাহিকার চর ও নিম্নাঞ্চল। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অন্তত ১৫ হাজার পরিবার। মৌলভীবাজারে কুশিয়ারার ভাঙনে প্লাবিত হয়েছে ৭টি গ্রাম।