শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ছয় মাসের দণ্ডপ্রাপ্ত নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের জামিনের মেয়াদ ১৪ আগস্ট পর্যন্ত বাড়িয়েছেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। এ নিয়ে পঞ্চমবারের মতো তাদের জামিনের মেয়াদ বাড়ল।
বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এম এ আউয়াল এ আদেশ দেন। বাকিরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের আইনজীবী খাজা তানভীর আহমেদ এ তথ্য জানান।
আদালতে আজ ড. ইউনূসসহ চারজনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার খাজা তানভীর আহমেদ ও এস এম মিজানুর রহমান। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বরত চিফ প্রসিকিউটর সৈয়দ হায়দার আলী।
এ সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্য তিন বিবাদী গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও কয়েকজন বিদেশি পর্যবেক্ষক আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন সাংবাদিকদেরকে বলেন, আমরা কোর্টের কাছে পূর্ণাঙ্গ জামিনের জন্য আবেদন করেছি, এর কারণ হিসেবে আমরা উল্লেখ করেছি আপিল আদালতে কখনো আসামির উপস্থিতি লাগে না। কারণ এটা বিচারিক আদালত না। সুতরাং, এই যে বার বার খণ্ডকালীন করে তাদের ডেকে আনা হচ্ছে। এতে ন্যায়বিচারের প্রতি অবমাননা হচ্ছে। আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে ও মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।
অ্যাডভোকেট মো. খুরশীদ আলম খান জানান, আমরা মনে করি ন্যায় বিচারের ক্ষেত্রে আদালত যদি সময় দিতে পারেন, আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু পরবর্তী ধার্য তারিখে যদি উনি আপিল বিভাগ থেকে কোনো আদেশ আনতে না পারেন তাহলে আপিলটা যেন শুনানির জন্য ধার্য থাকে।
আদালত সেই মর্মে ওনাকে ১৪ আগস্ট পর্যন্ত জামিন দিয়েছে। এবং ১৪ ই আগস্ট উনি যদি আপিল দায়ের করে কিছু আনতে পারেন তো ভালো আর যদি না পারেন তবে আপিল শুনানি হবে।