বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দা পিপলের চায়নিজ পিপলস পলিটিক্যাল কনসাল্টেটিভ কনফারেন্সের ১৪তম জাতীয় কমিটির চেয়ারম্যান ওয়াং হুনিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বুধবার (১০ জুলাই) সকালে বেইজিংয়ে গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এ বৈঠক শুরু হয়।
প্রধানমন্ত্রীর আগমনে বেইজিংয়ের ‘গ্রেট হল অব দ্য পিপল’-এ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অভ্যর্থনা জানানো হয়েছে। এখানে তাকে লাল গালিচা সংবর্ধনা ও গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়।
শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর সফররত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অভিবাদন মঞ্চে যান চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং। অভিবাদন মঞ্চে শেখ হাসিনা ও লি কিয়াং-কে সশস্ত্র সালাম দেয় চীনের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল। এ সময় দু’দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় মূলত রোহিঙ্গা ইস্যু, ব্যবসা-বাণিজ্য, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বিষয়ে আলোচনা হবে। বৈঠকের পর বাংলাদেশ ও চীন ২০ থেকে ২২টি চুক্তিতে স্বাক্ষর করবে।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গে ১৫তম ব্রিকস শীর্ষ সম্মেলনের সাইডলাইনে সাম্প্রতিক বৈঠকে চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিংয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী তার শেষ আলোচনা করেছিলেন।
২০১৬ সালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বাংলাদেশ সফরের ফলে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ‘সহযোগিতার কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে।
এটি প্রধানমন্ত্রীর চতুর্থ চীন সফর। এর আগে ২০১০, ২০১৪, ২০১৯ সালে চীন সফর করেন তিনি।
এই সফর বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে সম্পর্ককে ‘কৌশলগত অংশীদারিত্ব’ থেকে ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্ব’-এ উন্নীত করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে। গত ২১ থেকে ২২ জুন ভারত সফরের ১৫ দিনের মধ্যে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর।