Top Newsজাতীয়

স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবনে প্রতিনিধি দল

মোহনা অনলাইন

সরকারি চাকরিতে কোটার যৌক্তিক সংস্কারের এক দফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে স্মারকলিপি নিয়ে বঙ্গভবন প্রবেশ করেছে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধি দল।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ২ টা ৪০ মিনিটে প্রবেশ করেন তারা। বঙ্গভবনে যাওয়া ১২ জনই আন্দোলনের সমন্বয়ক।

প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- সারজিস আলম, নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ, হাসিব আল ইসলাম, রিফাত রশিদ, হান্নান মাসুদ, সুমাইয়া আক্তার, আব্দুল কাদের, মেহেরুন্নেসা নিদ্রা প্রমুখ।

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে গ্রন্থাগারের সামনে বেলা ১১টার আগে থেকেই ছোট ছোট দলে জড়ো হতে শুরু করেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরে দুপুর ১২টায় তারা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে এ পদযাত্রা শুরু করেন। এতে ঢাকার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যুক্ত হন।

এসময় মিছিলটি বঙ্গভবনের উদ্দেশে এগিয়ে যেতে থাকলে দুপুর ১টার দিকে শিক্ষা ভবনের সামনে তাদের আটকানোর জন্য ব্যারিকেড দেয় পুলিশ। পরে শিক্ষার্থীরা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে এগিয়ে যান। এরপর গণপদযাত্রা নিয়ে শিক্ষা ভবন এলাকা অতিক্রম করে সচিবালয়ের কাছে পৌঁছালে ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সচিবালয় গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাদের এ কর্মসূচি রাজধানীর জিরো পয়েন্টে পৌঁছালে পুলিশের ব্যারিকেড লক্ষ্য করা যায়। ব্যারিকেডের কারণে সামনে এগোতে না পেরে সড়কেই বসে পড়েন তারা। এসময় সেখানে বসেই তারা বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন।

একপর্যায়ে দুপুর ১টা ৪০ মিনিটের দিকে গুলিস্তান জিরো পয়েন্টের পুলিশ ব্যারিকেড ভেঙে বঙ্গবভনের দিকে রওনা হন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।

এসময় গুলিস্তানের পাতাল মার্কেট এলাকায় পুলিশের একটি সাঁজোয়া যান দেখা যায়। এসময় রাস্তা ব্লক করে ও বৃষ্টি উপেক্ষা করে হাজারো শিক্ষার্থী স্লোগান দিতে থাকেন। তবে মতিঝিলের রাস্তা আটকে রাখেন পুলিশ সদস্যরা। গুলিস্তান মোড়ে এপিসি কার ও জলকামান নিয়ে শত শত পুলিশ সদস্যকে প্রস্তুত থাকতেও দেখা যায়।

বেলা ১১টায় শুরু হওয়া এই গণপদযাত্রায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাবি অধিভুক্ত সাত কলেজ, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়সহ ঢাকার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে গণভবন অভিমুখে গণপদযাত্রার ঘোষণা দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। তাছাড়া অন্যান্য জেলা থেকে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার ঘোষণা দেন তারা।

Show More

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button