ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায় তিনশত শিক্ষার্থী। গতকাল সোমবার বেলা তিনটার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল থেকে এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর দফায় দফায় হামলা চালায় ছাত্রলীগ। আহতরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের মধ্যে ১৩ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজয় একাত্তর হলের সামনে প্রথমে দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। পরে দফায় দফায় ক্যাম্পাসজুড়ে সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। পরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মী একজোট হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায়। এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা হাতে থাকা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর দখলে চলে যায় ক্যাম্পাস। সংঘর্ষের সময় কয়েক যুবককে আগ্নেয়াস্ত্র হাতে দেখা গেছে। সন্ধ্যায় বহিরাগতদের ক্যাম্পাস থেকে বের করতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে সেখানে পুলিশ প্রবেশ করে। পরিস্থিতি শান্ত হওয়ার পর মধ্যরাতে ক্যাম্পাস ত্যাগ করে পুলিশ।
এদিকে গত রাতে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীদের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তারা জানায়, আজ সারাদেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ পালন করা হবে। পাল্টা কর্মসূচিতে আজ দুপুর দেড়টায় ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রলীগ। গতকাল রাতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হয়।
ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বলেন, ঢাকা মেডিকেলে রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ৩০০ জনের বেশি শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিয়েছেন বলে আমি জানি। ভর্তি রাখা হয়েছে ১৩ জনকে। এর বাইরে অন্য হাসপাতালে শিক্ষার্থীরা চিকিৎসা নিয়েছেন কিনা, আমি জানি না।
তিনি আরও বলেন, যেসব শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন, তারা সবাই কিন্তু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের না। ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী তারা। ছাত্রলীগেরও কয়েকজন আহত হয়েছেন।