বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হতে পারে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথগ্রহণ। বঙ্গভবনে শপথ অনুষ্ঠানের আয়োজনে সব প্রস্তুতি নিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। উপদেষ্টাদের বাসভবন প্রস্তুতে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়কে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাড়িও প্রস্তুত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সরকারের যানবাহন অধিদপ্তরকে। এই সরকারে ছাত্র, শিক্ষক, আলেম, সিভিল সোসাইটিসহ সব পেশার মানুষের প্রতিনিধি থাকবেন এমনটি প্রত্যাশা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ড. ইউনূস বুধবার (৭ আগস্ট) রাতে প্যারিস থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন। ফ্রান্সে সশস্ত্র নিরাপত্তারক্ষীরা কড়া পাহারায় তাঁকে ফ্লাইটে পৌঁছে দেন। ফ্রান্সে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খন্দকার এম তালহা এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন।
ড. ইউনূস প্যারিসে বিমানবন্দরে বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, সংকট থেকে বাংলাদেশকে বের হতে সহযোগিতার জন্য তিনি ফিরছেন। এর আগে গতকাল বিকেলে সেনা সদর দপ্তরে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, ‘কিছুক্ষণ আগে ড. ইউনূসের সঙ্গে কথা হয়েছে। উনার সঙ্গে কথা বলে খুব ভালো লাগল। আমার মনে হয়েছে উনি অত্যন্ত আগ্রহী এই কাজ করার জন্য। আমি নিশ্চিত যে উনি আমাদের একটি সুন্দর গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যেতে পারবেন।’
সেনাপ্রধান বলেন, ড. ইউনূস আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) দেশে আসবেন। আমি তাঁকে বিমানবন্দরে রিসিভ করব। আশা করি, রাত ৮টায় অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ অনুষ্ঠিত হবে। এ সরকারে ১৫ জনের মতো সদস্য থাকতে পারেন বলে জানিয়েছেন তিনি। দু-একজন বাড়তেও পারে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
সেনাপ্রধান বলেন, ড. ইউনূসকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে সশস্ত্র বাহিনী। আশা করি, সবার চেষ্টায় আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যেতে পারব। শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে তিনি বলেন, আপনারা দেখেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনা পরিষ্কার করছেন। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় সড়কে তাঁরা ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করছেন। আমি তাঁদের সাধুবাদ জানাই। আশা করি, আগামী দিনেও তাঁরা এ দায়িত্ব পালন করবেন। আমাদের কাজে সহযোগিতা করবেন।’
পুলিশ পুনর্গঠনের বিষয়ে ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, পুলিশ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাহিনী। এরই মধ্যে এ বাহিনী পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করি, তারা মনোবল ফিরিয়ে এনে একটি পেশাদার বাহিনী হিসেবে নিজেদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করবে।