বাগেরহাটে দেয়ালে গ্রাফিতি আঁকা থেকে বাজার তদারকিতে শিক্ষার্থীরা
অমিত পাল, বাগেরহাট প্রতিনিধি
বাগেরহাটের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দেয়ালগুলো সেজে উঠছে শিক্ষার্থীদের রং তুলির আঁচড়ে ৷ অপরদিকে দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাজার তদারকিতে কাজ করছেন আরেক দল শিক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়কার ক্ষত সারিয়ে সম্ভাবনার নতুন বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিতে তারা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছেন।
গত শনিবার থেকে বাগেরহাট স্কুল, বাগেরহাট সরকারি বালিকা বিদ্যালয় ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বর এলাকার সারি সারি দেয়ালে তারা নতুন বাংলাদেশের ছবি আকা শুরু করেছে। বিভিন্ন দেয়ালে শোভা পাচ্ছে ছাত্র-জনতার বিজয়ের ছবি। লেখা হচ্ছে নতুন বাংলাদেশের স্লোগান। ছাত্র জনতার গৌরবজ্জল বিজয় আর ভাবনার বাংলাদেশকে ফুটিয়ে তুলছে রং তুলির আঁচড়ে।
অপরদিকে রামপাল ও মোংলা উপজেলায় শিক্ষার্থীদের বাজার তদারকি করতে দেখা গেছে । রবিবার (১১ আগস্ট) দিনভর রামপাল ও মোংলা উপজেলার বিভিন্ন বাজার পরিদর্শন করে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ও দ্রব্যমূল্যের তালিকা পর্যবেক্ষণ করেন তারা ৷ কিছু কিছু দোকানের পণ্যের তালিকা দেখে সেটি সঠিক দামে বিক্রি হচ্ছে কি না, তাও দেখেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় মোংলার মিঠাখালী বাজারে দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে লিফলেট বিতরণ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বাজারের বিক্রেতাদের বলেন, “আগে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ হত,এখন সেই সিন্ডিকেট নাই । ঢাকায় নিত্য পণ্যের দাম কমলেও গ্রামের বাজার গুলোতে একই দাম রয়ে গেছে । তাই নিত্যপন্যের দাম যাতে সহনশীল পর্যায়ে থাকে সেদিকে ব্যবসায়ীদের খেয়াল রাখতে হবে। তারা অযথা পন্যের দাম বাড়িয়ে জনদুর্ভোগ না বাড়ানোর আহ্বান জানান”।
বাজার পরিদর্শন শেষে শিক্ষার্থীরা বলেন, সিন্ডিকেট ভেঙে গেছে তাই দ্রব্যমূল্যের দামও কমে আসছে। আমরা ব্যবসায়ীদেরকে সচেতন করার চেষ্টা করছি যাতে তারা নিজেদের ভেতর সমন্বয় করে দাম কমান। সবাই যেন নিজে থেকে সোচ্চার হয় সতর্ক হয়। তাহলে আমাদের দেশটা এগোবে। শহরাঞ্চলের মানুষের যে সুযোগ সুবিধা পাবে গ্রামাঞ্চলের মানুষের সেই একই ধরনের সুবিধা পাবে। আমরা ছাত্র সমাজ সকল দুর্নীতির বিরুদ্ধে সোচ্চার আছি । আমরা ছাত্র জনতা একসাথে কাজ করে আপনাদের একটি সুন্দর দেশ উপহার দেব।
এ সময় আনসার সদস্যরাও তাদের সাথে যোগ দেন।