বেশ কিছুদিন যাবৎ রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এরমধ্যে তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। তবে, পুরোপুরি সুস্থ না হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়েছে বলেও জানা গেছে।
খালেদা জিয়ার পরিবার ও দল এতে সম্মতি দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একটি মাল্টিপোল ডিজিজ সেন্টারে তাঁর লিভার প্রতিস্থাপনসহ জটিল চিকিৎসাগুলো করানো হবে। মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য এ তথ্য জানিয়েছেন।
গতকাল জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. জাহিদ হোসেন জানান, বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থা এখন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। যথাসময়ে তাঁকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হবে বলে জানান বেগম জিয়ার এই ব্যক্তিগত চিকিৎসক।
বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে, আগে খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নেওয়া ক্ষেত্রে প্রধান বাধা ছিল আওয়ামী লীগ সরকার। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, নির্বাহী আদেশ মুক্ত খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে আইনি প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরদিন ৬ আগস্ট তাকে মুক্তি দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। তবে, এখন খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসা নিতে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার মেডিকেল বোর্ডের অনুমতির প্রয়োজন। এখন মেডিকেল বোর্ড তার দীর্ঘ ২০-২২ ঘণ্টার সফরের বিষয়টি বিবেচনা নিয়ে অনুমতি দিলে তাকে বিদেশে নেওয়া হবে।
খালেদা জিয়ার লিভার প্রতিস্থাপন করা হবে। যদিও তার আগে তাঁর পুরো শরীর চেকআপ করে অন্য জটিলতাগুলো কমিয়ে আনতে হবে। তারপর তাঁর শারীরিক অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিএনপি চেয়ারপারসন বর্তমানে আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে এভারকেয়ার হাসপাতাল, চিকিৎসক এবং দলীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে।
উন্নত চিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে বিদেশে নেওয়ার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে গত ১৬ আগস্ট তার মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, ম্যাডাম কবে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাবেন সেটা নির্ভর করছে তার মেডিকেল বোর্ডের অনুমতির ওপর। তাই এখন দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়নি তিনি কবে যাবেন। বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে তার পাসপোর্ট থেকে শুরু করে যাবতীয় সবকিছু প্রস্তুত রাখা হয়েছে।