কক্সবাজারের টেকনাফ, উখিয়া ও নাইক্ষ্যংছড়ির সীমান্ত দিয়ে আবারও বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে রোহিঙ্গা। নাফ নদের ওপারে অর্ধশতাধিক নৌকায় দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গা অপেক্ষায় রয়েছে বলে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছেন। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে দালালরা টাকার বিনিময়ে রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢোকাচ্ছে বলে জানা গেছে।
রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে ঢুকতে দুই দেশের দালালরা সহযোগিতা করছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। তারা বলছেন, উখিয়া-টেকনাফ সীমান্তে দুই পাড়ে আছে দুই শতাধিক দালাল। তাদের মাধ্যমে রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে ঢুকছে।
সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে রাখাইনে যুদ্ধের তীব্রতা বেড়েছে। বিস্ফোরণের বিকট শব্দে কাঁপছে কক্সবাজারের টেকনাফ সীমান্তও। এ পরিস্থিতিতে হাজারো রোহিঙ্গা সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢোকার চেষ্টা করছে। এদিকে, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সর্বোচ্চ সতর্ক পাহারায় রয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বিজিবি ও কোস্টগার্ড কর্মকর্তাদের দাবি, সীমান্তে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। তবে রোহিঙ্গা বোঝাই অনেক নৌকা অনুপ্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে। অনেক রোহিঙ্গাকে পুশব্যাক করা হয়েছে।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আদনান চৌধুরী বলেন, ‘সীমান্তের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটছে। অনুপ্রবেশের সময় বিপুলসংখ্যক রোহিঙ্গাকে নাফ নদ থেকে পুনরায় মিয়ানমারে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। অনুপ্রবেশ ঠেকাতে নাফ নদ ও সীমান্তে টহল জোরদার করা হয়েছে।’
এদিকে উখিয়ার কয়েকটি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হঠাৎ করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। গত দুই দিনে দুই রোহিঙ্গা গ্রুপের গোলাগুলিতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। রোহিঙ্গা নেতা আলী হোসেন বলেন, ‘বৃহস্পতিবার ক্যাম্প-১৮-তে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সাতজন আহত হন। এর আগের দিন ক্যাম্প-১৫-তে আহত হয়েছেন আরো আটজন।’